অনেকবার বলেছি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য, ও এড়িয়ে গিয়েছে : নিখিল
সবুজদেশ ডেস্কঃ
নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে অস্বীকার নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে নতুন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে একটি সিনেমার কাজ চলাকালীন ওর আমার প্রতি ব্যবহার বদলে যায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ২০২০ সালে ‘এসওএস কলকাতা’-র ছবির শ্যুটিং নুসরতের জীবনে মোড় ঘোরানো ঘটনা। সেই ছবির সেটেই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রেমে পড়েন নুসরত। এর আগে ২০১৭ সালে ‘ওয়ান’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয়েছিল দু’জনের। তারপর থেকে তাদের কখনও মরু শহরে কখনও বা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। আবার কখনও দেখা যায় একই গাড়িতে। তাদের প্রেমের কাহিনী ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আনতেও শুরু করেন তারা।
নিখিল জৈন বলেন, ‘নুসরাতকে অনেকবার বলেছি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য, ও এড়িয়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রেমে পড়ে আমি নুসরাতকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই। সেটি সে গ্রহণ করে। তুরস্কে ২০১৯ সালে আমাদের বিয়ে হয়। আমরা স্বামী- স্ত্রীর মতোই আচরণ করতাম। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সামনেও আমরা দম্পতি হিসেবেই দাঁড়াতাম। আমার খুব খারাপ লাগছে, সংবাদমাধ্যমে সারাক্ষণ আমাদের ছবি এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে খারাপ কথা বলা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না কারণ আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ চক্রবর্তীর ‘শত্রু’ দিয়ে প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন নুসরাত জাহান। এরপর একে একে করেন ২২টি ছবি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘খোকা-৪২০’, ‘খিলাড়ি’, ‘অ্যাকশন’, ‘যোদ্ধা’, ‘সন্ধে নামার আগে’, ‘জামাই-৪২০’, ‘হর হর ব্যোমকেশ’, ‘পাওয়ার’, ‘কেলোর কীর্তি’, ‘লাভ এক্সপ্রেস’, ‘জুলফিকার’, ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’, ‘ওয়ান’, ‘আমি যে কী তোমার’, ‘বলো দুগ্গা মাঈ কী’, ‘উমা’, ‘ক্রিসক্রস’, ‘নেকাব’, ‘অসুর’, ‘এসওএস কলকাতা’ ইত্যাদি। ২০২১ সালের ছবি ‘ডিকশনারি’তে সর্বশেষ তাঁকে দেখা গেছে।
সবুজদেশ/এসইউ