ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফুল চাষে ভাগ্য বদল আকরাম আলীর

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

ফুলই ভাগ্য বদলে দিয়েছে সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর এলাকার ফুল ব্যবসায়ী আকরাম আলীর। নিজস্ব কোন জমি নেই। অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফুলের চাষ করছেন। আর সেই ফুল বাগান থেকে বছরে আয় করছেন পাঁচ লাখ টাকা। এই ফুল ব্যবসায়ীর ভাষ্য, ফুল ব্যবসায় লোকসানের কোন সম্ভাবনা নেই। ভালোভাবে পরিচর্যা ও ফুলচাষ করতে পাররে অনেক লাভ।

সদর উপজেলার আলীপুর এলাকার মৃত. আহাদুল্লাহ্ সরদারের ছেলে আকরাম আলী (৬০) সাতক্ষীরা জেলার একমাত্র ফুল চাষী। বর্তমানে ৭ বিঘা ৮ কাটা জমিতে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁধা ও গাজরা ফুল রয়েছে এই ফুল চাষীর।

সদরের আলীপুর এলাকায় বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে গাজরা ফুল। এছাড়া পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি এলাকায় ৫ বিঘা ৮ কাটা জমিতে রয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গাঁধা ফুল। ফুল চাষ করেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন আকরাম আলী। ফুল ব্যবসার লাভের টাকায় ১৫ বিঘা মাছের ঘেরও করেছেন। তবে এসব জমির সবটুকুই অন্যের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া। নিজস্ব জমি বলতে বসতভিটার ১৫ শত জমি ছাড়া কিছুই নেই।

ফুল ব্যবসা নিয়ে আকরাম আলী বলেন, ১৯৮০ সালে ৮ শতক জমি নিয়ে আমি ফুল চাষ শুরু করি। সেই থেকেই আমার ফুল ব্যবসার শুরু। ফুল চাষে লোকসানের কোন সম্ভাবনা নেই। ঠিকমত পরিচর্যা ও সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে প্রচুর লাভ হয়। বর্তমানে ৭ বিঘা ৮ কাটা জমিতে আমার ফুল চাষ রয়েছে। এর মধ্যে বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে গাজরা ফুল। ২৫ হাজার টাকায় দুই বিঘা জমি ইজারা নিয়েছি। আর গাজরা ফুল চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এ বাগান থেকে কমপক্ষে ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবো। এ ফুল চাষে বাড়তি কোন খরচ নেই। এ বছর আরও তিন বিঘা জমিতে গাজরা ফুলের চাষ করবো।

পাটকেলঘাটা থানার মিঠাবাড়ি এলাকায় বড় বাগান রয়েছে জানিয়ে ফুল চাষী আকরাম আলী জানান, পৌনে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে রজনীগন্ধার চাষ। যা চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। বিক্রি হবে ৪ লাখ টাকাও বেশী। ১২ কাটা জমিতে রয়েছে গোলাপের চাষ। খরচ পড়েছে এক লাখ টাকা। বিক্রি হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায়। এছাড়া ২ বিঘা ১৫ কাটা জমিতে রয়েছে গাঁধা ফুলের চাষ। যা চাষ করতে খরচ পড়েছে এক লাখ টাকা। বিক্রি হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায়। মোট ৫ বিঘা ৮ কাটা জমিতে বছরে ইজারা দিতে হয় ৮৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ফুল চাষ করে বছরে আমার খরচ বাদ দিয়ে ৪-৫ লাখ টাকা লাভ হয়।

তিনি আরও বলেন, ফুল ব্যবসার লাভের টাকা দিয়ে ১৫ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে মাছের ঘের করেছি। ফুল ব্যবসার মাধ্যমেই আমার জীবনের পরিবর্তন, ভাগ্য বদলেছে। এসব ফুল সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলাসহ যশোরের কেশবপুর উপজেলায় সরবরাহ করি। জেলায় আমি একমাত্র ফুল চাষী আর কোন ফুল চাষী নেই। যার কারণে ফুল চাষের কোন পরামর্শমূলক সহযোগিতাও কারও কাছ থেকে নেওয়া সম্ভব হয় না। এছাড়া কৃষি বিভাগও কোন সহযোগিতা করে না। ১৯৮০ সাল থেকে অল্প জমিতে ফুল চাষ শুরু করলেও ২০০০ সালে আলীপুর এলাকায় ১২ বিঘা জমিতে চাষ করেছিলাম। সেই থেকে বড় পরিসরে ফুল চাষের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালে নগরঘাটার মিঠাবাড়ি এলাকায় চাষ শুরু করেছি। আমার একার পক্ষেও জেলায় ফুলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। যার কারণে ফুল ব্যবসায়ীদের অন্য জেলা থেকে ফুল আমদানি করতে হয়।

ফুলের বাজারে দাম কমবেশী হয় জানিয়ে ফুল চাষী আকরাম আলী বলেন, প্রতি পিচ গোলাপ আজ (২৪ জানুয়ারি) বিক্রি করেছি ৫ টাকায়, রজনীগন্ধা ৬ টাকা ও গাঁধা ফুল এক হাজার ১৫০ টাকায়। প্রতিদিন বিক্রি করা দামের তারতম্য ঘটে। বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের দাম বেশী হয়।

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদত হোসেন বলেন, আগে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তবে ফুলের ব্যবসা করে বর্তমানে অবস্থা ভালো। পৈত্তিক বসতভিটা ছাড়া নিজস্ব কোন জমি জায়গা নেই আকরাম আলী। বিভিন্ন মানুষের জমি হারি নিয়ে ফুল চাষ করেন। ফুল চাষের লাভের টাকায় একটি মাছের ঘেরও করেছেন। বর্তমানে পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা এলাকায় গড়ে তুলেছেন ফুলের বাগান।

আকরাম আলীর ফুল চাষের বিষয়ে নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু বলেন, আমার ইউনিয়নে ফুল চাষ হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি, ফিরে খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মঈনুর আমিন মিঠু জানান, ২০১৯ সাল থেকে এই এলাকায় প্রথম বানিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু করেন আকরাম আলী। বাগানটি দেখতেও প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করেন। ফুল চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন তিনি। সরকারিভাবে কৃষি বিভাগ যদি তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তবে অন্য উদ্যোক্তা চাষীরাও ফুল চাষের প্রতি ঝুঁকবে। বেকার যুবকদেরও ফুল চাষের উপর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সাতক্ষীরা শহরের বড় ফুল ব্যবসায়ী দোকান ফুলশয্যার মালিক মিকাইল মোল্লা জানান, ৩০ বছর ধরে আমি ফুলের ব্যবসা করছি। আকরাম আলী আমাদের দোকানেও ফুল সরবরাহ করেন। আগে তার ফুল চাষ কম থাকলেও বর্তমানে বড় পরিসরে চাষ করছে। জেলা সদরের ছয়টি ফুলের দোকান ছাড়াও উপজেলাগুলোতেও সে ফুল সরবরাহ করেন। তার ফুলে জেলার চাহিদা পূরণ হয় না। যার কারণে যশোর জেলা থেকেও ব্যবসায়ীদের ফুল আমদানি করতে হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় আকরাম আলী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন ফুল চাষী নেই। ফুল চাষী না থাকায় আমাদের কোন জরিপ কার্যক্রমও করা হয়নি।

কৃষি বিভাগ কোন সহযোগিতা করে না ফুল চাষী আকরাম আলীর এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আকরাম আলীর ফুল চাষ করেন শুনেছি। তবে বর্তমানে ৮ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করছেন সেটি আমাদের জানা নেই। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া ফুল চাষ নিয়েও জরিপ কার্যক্রম পরিচালনাসহ উদ্যোক্তা বেকার যুবকদের ফুল চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
১২১৫ Time View

অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফুল চাষে ভাগ্য বদল আকরাম আলীর

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

ফুলই ভাগ্য বদলে দিয়েছে সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর এলাকার ফুল ব্যবসায়ী আকরাম আলীর। নিজস্ব কোন জমি নেই। অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ফুলের চাষ করছেন। আর সেই ফুল বাগান থেকে বছরে আয় করছেন পাঁচ লাখ টাকা। এই ফুল ব্যবসায়ীর ভাষ্য, ফুল ব্যবসায় লোকসানের কোন সম্ভাবনা নেই। ভালোভাবে পরিচর্যা ও ফুলচাষ করতে পাররে অনেক লাভ।

সদর উপজেলার আলীপুর এলাকার মৃত. আহাদুল্লাহ্ সরদারের ছেলে আকরাম আলী (৬০) সাতক্ষীরা জেলার একমাত্র ফুল চাষী। বর্তমানে ৭ বিঘা ৮ কাটা জমিতে রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁধা ও গাজরা ফুল রয়েছে এই ফুল চাষীর।

সদরের আলীপুর এলাকায় বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে গাজরা ফুল। এছাড়া পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি এলাকায় ৫ বিঘা ৮ কাটা জমিতে রয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গাঁধা ফুল। ফুল চাষ করেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন আকরাম আলী। ফুল ব্যবসার লাভের টাকায় ১৫ বিঘা মাছের ঘেরও করেছেন। তবে এসব জমির সবটুকুই অন্যের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া। নিজস্ব জমি বলতে বসতভিটার ১৫ শত জমি ছাড়া কিছুই নেই।

ফুল ব্যবসা নিয়ে আকরাম আলী বলেন, ১৯৮০ সালে ৮ শতক জমি নিয়ে আমি ফুল চাষ শুরু করি। সেই থেকেই আমার ফুল ব্যবসার শুরু। ফুল চাষে লোকসানের কোন সম্ভাবনা নেই। ঠিকমত পরিচর্যা ও সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে প্রচুর লাভ হয়। বর্তমানে ৭ বিঘা ৮ কাটা জমিতে আমার ফুল চাষ রয়েছে। এর মধ্যে বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে গাজরা ফুল। ২৫ হাজার টাকায় দুই বিঘা জমি ইজারা নিয়েছি। আর গাজরা ফুল চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এ বাগান থেকে কমপক্ষে ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবো। এ ফুল চাষে বাড়তি কোন খরচ নেই। এ বছর আরও তিন বিঘা জমিতে গাজরা ফুলের চাষ করবো।

পাটকেলঘাটা থানার মিঠাবাড়ি এলাকায় বড় বাগান রয়েছে জানিয়ে ফুল চাষী আকরাম আলী জানান, পৌনে দুই বিঘা জমিতে রয়েছে রজনীগন্ধার চাষ। যা চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। বিক্রি হবে ৪ লাখ টাকাও বেশী। ১২ কাটা জমিতে রয়েছে গোলাপের চাষ। খরচ পড়েছে এক লাখ টাকা। বিক্রি হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায়। এছাড়া ২ বিঘা ১৫ কাটা জমিতে রয়েছে গাঁধা ফুলের চাষ। যা চাষ করতে খরচ পড়েছে এক লাখ টাকা। বিক্রি হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায়। মোট ৫ বিঘা ৮ কাটা জমিতে বছরে ইজারা দিতে হয় ৮৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ফুল চাষ করে বছরে আমার খরচ বাদ দিয়ে ৪-৫ লাখ টাকা লাভ হয়।

তিনি আরও বলেন, ফুল ব্যবসার লাভের টাকা দিয়ে ১৫ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে মাছের ঘের করেছি। ফুল ব্যবসার মাধ্যমেই আমার জীবনের পরিবর্তন, ভাগ্য বদলেছে। এসব ফুল সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলাসহ যশোরের কেশবপুর উপজেলায় সরবরাহ করি। জেলায় আমি একমাত্র ফুল চাষী আর কোন ফুল চাষী নেই। যার কারণে ফুল চাষের কোন পরামর্শমূলক সহযোগিতাও কারও কাছ থেকে নেওয়া সম্ভব হয় না। এছাড়া কৃষি বিভাগও কোন সহযোগিতা করে না। ১৯৮০ সাল থেকে অল্প জমিতে ফুল চাষ শুরু করলেও ২০০০ সালে আলীপুর এলাকায় ১২ বিঘা জমিতে চাষ করেছিলাম। সেই থেকে বড় পরিসরে ফুল চাষের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালে নগরঘাটার মিঠাবাড়ি এলাকায় চাষ শুরু করেছি। আমার একার পক্ষেও জেলায় ফুলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। যার কারণে ফুল ব্যবসায়ীদের অন্য জেলা থেকে ফুল আমদানি করতে হয়।

ফুলের বাজারে দাম কমবেশী হয় জানিয়ে ফুল চাষী আকরাম আলী বলেন, প্রতি পিচ গোলাপ আজ (২৪ জানুয়ারি) বিক্রি করেছি ৫ টাকায়, রজনীগন্ধা ৬ টাকা ও গাঁধা ফুল এক হাজার ১৫০ টাকায়। প্রতিদিন বিক্রি করা দামের তারতম্য ঘটে। বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের দাম বেশী হয়।

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদত হোসেন বলেন, আগে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তবে ফুলের ব্যবসা করে বর্তমানে অবস্থা ভালো। পৈত্তিক বসতভিটা ছাড়া নিজস্ব কোন জমি জায়গা নেই আকরাম আলী। বিভিন্ন মানুষের জমি হারি নিয়ে ফুল চাষ করেন। ফুল চাষের লাভের টাকায় একটি মাছের ঘেরও করেছেন। বর্তমানে পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা এলাকায় গড়ে তুলেছেন ফুলের বাগান।

আকরাম আলীর ফুল চাষের বিষয়ে নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু বলেন, আমার ইউনিয়নে ফুল চাষ হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি, ফিরে খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মঈনুর আমিন মিঠু জানান, ২০১৯ সাল থেকে এই এলাকায় প্রথম বানিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু করেন আকরাম আলী। বাগানটি দেখতেও প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় করেন। ফুল চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন তিনি। সরকারিভাবে কৃষি বিভাগ যদি তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তবে অন্য উদ্যোক্তা চাষীরাও ফুল চাষের প্রতি ঝুঁকবে। বেকার যুবকদেরও ফুল চাষের উপর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সাতক্ষীরা শহরের বড় ফুল ব্যবসায়ী দোকান ফুলশয্যার মালিক মিকাইল মোল্লা জানান, ৩০ বছর ধরে আমি ফুলের ব্যবসা করছি। আকরাম আলী আমাদের দোকানেও ফুল সরবরাহ করেন। আগে তার ফুল চাষ কম থাকলেও বর্তমানে বড় পরিসরে চাষ করছে। জেলা সদরের ছয়টি ফুলের দোকান ছাড়াও উপজেলাগুলোতেও সে ফুল সরবরাহ করেন। তার ফুলে জেলার চাহিদা পূরণ হয় না। যার কারণে যশোর জেলা থেকেও ব্যবসায়ীদের ফুল আমদানি করতে হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় আকরাম আলী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন ফুল চাষী নেই। ফুল চাষী না থাকায় আমাদের কোন জরিপ কার্যক্রমও করা হয়নি।

কৃষি বিভাগ কোন সহযোগিতা করে না ফুল চাষী আকরাম আলীর এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আকরাম আলীর ফুল চাষ করেন শুনেছি। তবে বর্তমানে ৮ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করছেন সেটি আমাদের জানা নেই। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া ফুল চাষ নিয়েও জরিপ কার্যক্রম পরিচালনাসহ উদ্যোক্তা বেকার যুবকদের ফুল চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।