চুয়াডাঙ্গাঃ

সাভার বিপিএটিসি কলেজের ছাত্র জুবাইর মাহমুদের সঙ্গে ২০০৯ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল চুয়াডাঙ্গার সে সময়ের কিশোরী পিয়া। জুবাইর এসেছিল পিয়াদের এলাকায়। কিন্তু, সিনেমার ঘটনার মতো প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয় তার। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে টানা ১১ বছর ঘানি টানার পর অবশেষে আজ প্রমাণ হলো পিয়া এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ মামলায় আদালত তাকেসহ চারজনকে দিয়েছেন বেকসুর খালাস। আর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জুবাইর মাহমুদ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রবিবার ( ৪ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ বজলুর রহমান আসামিদের উপস্থিাতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত হারান মণ্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলী ও পিতম্বরপুর গ্রামের গোলাম নবী শেখের ছেলে হাসান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল সাভার বিপিএটিসি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র জুবাইর মাহমুদ চুয়াডাঙ্গার স্কুলছাত্রী পিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এ ঘটনার পর জুবাইর চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে এলে তাকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি এবং পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। এ ঘটনায় জুবাইর মাহমুদের পিতা নুরুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সদর থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে ৮ জন আসামির নামে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলা চলাকালে নজির আহমদ ও হারুন অর রশিদ পলাশ নামে দুই আসামি মারা যায়। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এরপর আজ বিচারক বাকি ছয় আসামির মধ্যে মুন্তাজ আলী ও হাসানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। নুসরাত জাহান পিয়াসহ এ মামলায় বিচারকের আদেশে খালাস পয়েছেন আমীর হোসেন, ইমান আলী ও কবির হোসেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here