ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অফিস সহায়ককে কুপিয়ে হত্যা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে।

বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক (এলএমএসস) নাঈম খানকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের হিরন নামাক এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়ির উঠান থেকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নাঈম মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল খানের ছেলে। তিনি মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে নাঈম তার বাড়ির পাশের হিরন মার্কেটের একটি দোকানে লুডু খেলছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি ফোন কল পেয়ে নাঈম খান লুডু খেলা ছেড়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর হিরণের পরিত্যক্ত বাড়ির উঠানে তাকে অচেতন এবং হাত ও গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন ওই বাড়ির পাশের বাসিন্দা ফাতেমা। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নাইমকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান।

নাঈমের ভগিনীপতি আবুল ফকির ও চাচাতো ভাই আজিম খাঁ জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে নাঈমকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

মোল্লাহাট থানার ওসি সোমেন দাস জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবু প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পুলিশি চেষ্টা চলছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. উসমান হামিদ জানান, নাঈম অত্যন্ত নিরীহ ও সরল স্বভাবের ছিল। তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে- এটা ভাবতেই কষ্ট হয়।

Tag :

অফিস সহায়ককে কুপিয়ে হত্যা

Update Time : ০৭:৩৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

বাগেরহাট:

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক (এলএমএসস) নাঈম খানকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের হিরন নামাক এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়ির উঠান থেকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নাঈম মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল খানের ছেলে। তিনি মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে নাঈম তার বাড়ির পাশের হিরন মার্কেটের একটি দোকানে লুডু খেলছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি ফোন কল পেয়ে নাঈম খান লুডু খেলা ছেড়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর হিরণের পরিত্যক্ত বাড়ির উঠানে তাকে অচেতন এবং হাত ও গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন ওই বাড়ির পাশের বাসিন্দা ফাতেমা। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নাইমকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান।

নাঈমের ভগিনীপতি আবুল ফকির ও চাচাতো ভাই আজিম খাঁ জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে নাঈমকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

মোল্লাহাট থানার ওসি সোমেন দাস জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবু প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পুলিশি চেষ্টা চলছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. উসমান হামিদ জানান, নাঈম অত্যন্ত নিরীহ ও সরল স্বভাবের ছিল। তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে- এটা ভাবতেই কষ্ট হয়।