ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ ও নকল মোবাইল সেট বন্ধের কাজ শুরু

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারের (এনইআইআর) কার্যক্রম চালু হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আগামী ৩ মাস এই কার্যক্রম চলবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ডিজিটাল অপরাধের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এর সঙ্গে রয়েছে অবৈধ হ্যান্ডসেট চোরাচালান ও ডিজিটাল নিরাপত্তা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনইআইআর চালু করেছি, যা এসব ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

টেলিকম খাতে এনইআইআর একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতিটি কার্যত দেশের জনগণকে প্রতারণা থেকে নিরাপদ রাখার অন্যতম হাতিয়ার। নতুন প্রবর্তিত এই পদ্ধতিতে যাতে জনগণ সামান্যতম ভোগান্তির শিকার না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে তার মধ্যে কোনোটি অবৈধ হয়ে থাকলে গ্রাহককে জানিয়ে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হবে। ওই তিন মাসের মধ্যে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনটি বৈধ করে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তিন মাস পর অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোনো সিমই কাজ করবে না। এ নিয়ে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। 

বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট দেশে চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নেটওয়ার্কে সচল হবে। এ ধরনের গ্রাহককে দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য বা দলিল দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। দশ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেলে ওই হ্যান্ডসেট ‘বৈধ’ বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। তাদের ক্ষেত্রেও পরীক্ষাকালীন ওই তিন মাস হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে চালু রেখে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশ থেকে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাহককে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তার পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরটি দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের ছবি/স্ক্যান কপি (যেমন পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্য, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করে Submit করতে হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। বৈধ না হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় পার হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এ সেবা নেওয়া যাবে। 

বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে সর্বোচ্চ দুটি এবং শুল্ক দিয়ে আরও ছয়টি হ্যান্ডসেট সঙ্গে আনতে পারেন।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
৩০৫ Time View

অবৈধ ও নকল মোবাইল সেট বন্ধের কাজ শুরু

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারের (এনইআইআর) কার্যক্রম চালু হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আগামী ৩ মাস এই কার্যক্রম চলবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের পাশাপাশি ডিজিটাল অপরাধের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এর সঙ্গে রয়েছে অবৈধ হ্যান্ডসেট চোরাচালান ও ডিজিটাল নিরাপত্তা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এনইআইআর চালু করেছি, যা এসব ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

টেলিকম খাতে এনইআইআর একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতিটি কার্যত দেশের জনগণকে প্রতারণা থেকে নিরাপদ রাখার অন্যতম হাতিয়ার। নতুন প্রবর্তিত এই পদ্ধতিতে যাতে জনগণ সামান্যতম ভোগান্তির শিকার না হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে তার মধ্যে কোনোটি অবৈধ হয়ে থাকলে গ্রাহককে জানিয়ে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হবে। ওই তিন মাসের মধ্যে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনটি বৈধ করে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তিন মাস পর অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোনো সিমই কাজ করবে না। এ নিয়ে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। 

বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট দেশে চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নেটওয়ার্কে সচল হবে। এ ধরনের গ্রাহককে দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য বা দলিল দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। দশ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেলে ওই হ্যান্ডসেট ‘বৈধ’ বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। তাদের ক্ষেত্রেও পরীক্ষাকালীন ওই তিন মাস হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে চালু রেখে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশ থেকে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাহককে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তার পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরটি দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের ছবি/স্ক্যান কপি (যেমন পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্য, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করে Submit করতে হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। বৈধ না হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় পার হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এ সেবা নেওয়া যাবে। 

বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে সর্বোচ্চ দুটি এবং শুল্ক দিয়ে আরও ছয়টি হ্যান্ডসেট সঙ্গে আনতে পারেন।

সবুজদেশ/এসইউ