ঢাকাঃ

ভালোবাসার মানুষ তামিমা সুলতানাকে ঘরে তুলে দিয়েছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এবার ভালোবাসা দিবসে নাসিরের সবচেয়ে বড় উপহার তামিমাকে আপন করে পাওয়া। ভালোবাসা দিবসে নাসিরের জীবনের দুই উৎসবের ঢামাঢোলের মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসলেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান।  

নাসিরপত্নীর বিরুদ্ধে রাকিবের অভিযোগ, তিনি বিয়েবিচ্ছেদ না করেই নাসিরকে বিয়ে করেছেন।

রাকিবের এই অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।  এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজনরা।  তবে বিষয়টি পাত্তাই দেননি অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।  বিবাহোত্তর সংবর্ধনা সেরেছেন জমকালোভাবে।   

শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিজের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন নাসির।  অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন নাসিরের শুভানুধ্যায়ীরা।

রাকিবের অভিযোগ নাসির-শামীমার আনুষ্ঠানিকতায় কোনো ছেদ ফেলতে পারেনি।  অনুষ্ঠানে দুজন ছিলেন প্রাণবন্ত। নাসিরের পরনে ছিল সাদা স্যুট, সঙ্গে কালো বো টাই।  আর স্ত্রী তামিমা সেজেছিলেন লেহেঙ্গার সাজে। 

বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিরের সতীর্থ পেসার শফিউল ইসলাম। নবদম্পতিকে জানাতে এসেছিলেন শুভাশিসও।  ছিলেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজন।

গতকাল বিয়ে নিয়ে সারা দিনই আলোচনায় ছিলেন নাসির।  এদিন তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান দাবি করেন, তামিমার সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়নি। ছাড়াছাড়ি না করেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন তামিমা।  এ বিষয়ে তামিমাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।  উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যমের কাছে তাদের কাবিননামা ও জিডির কপি পাঠিয়েছেন তামিমার প্রথম স্বামী।  

তার দাবি, তামিমার সঙ্গে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি।  তাদের ঘরে ৮ বছর বয়সী মেয়ে সন্তান রয়েছে।  
 
রাকিব হাসান আরও বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তামিমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর অনেক বছর তামিমার পক্ষের কোনো আত্মীয়স্বজনের দেখা পাইনি।

বছরচারেক আগে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তামিমাকে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরি পাইয়ে দিই। এই চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সে (তামিমা) বদলে যেতে থাকে।  

আপ্লুতকণ্ঠে রাকিব হাসান আরও বলেন, নাসিরের ফেসবুকে পোস্ট করা বিয়ের ভিডিও আমার মেয়ে দেখে অঝোরে কাঁদছে। আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে, কোনো কাগজপত্র না পাঠিয়ে কেন এভাবে অন্যের স্ত্রী হতে চলে গেল তামিমা? আমি বুঝতে পারছি না। এখনো আমাদের ডিভোর্স হয়নি। আমার অবুঝ মেয়ে কী দোষ করেছে? যে এখন মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের ভিডিও দেখে কাঁদছে?- এমন প্রশ্নও রাখেন তামিমার প্রথম স্বামী।

এ বিষয়ে জানতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া  যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here