রংপুর প্রতিনিধিঃ

সালমা বেগম। বয়স শতবর্ষ পেরিয়েছে। রংপুর নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের আজিজুল্লাহ বসুনিয়াপাড়া গ্রামে থাকেন। চাপড়া ঘরেই তার বসবাস। স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। ৮ সন্তানের জননী তিনি। কিন্তুু এই অসহায় বৃদ্ধাকে সন্তানরা দেখভাল না করায় করুণ পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হয়েছে তাকে। ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। আর করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাব শুরু পর তার অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠে।

এমন পরিস্থিতিতে “উই আর বাংলাদেশ” নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই বৃদ্ধার করুণ অবস্থা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন। পরে বিষয়টি রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরাকরের নজরে আসলে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের আজিজুল্লাহ বুসনিয়াপাড়া গ্রামের ওই বৃদ্ধার বাড়িতে “উই আর বাংলাদেশ” এর আর্থিক সহযোগিতা ও জেলা পুলিশের তত্বাবধানে বৃদ্ধা একটি বাড়ী উপহার দেয়া হয়।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আশরাফুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বৃদ্ধার হাতে বাড়ির চারি তুলে দেন রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( এ-সার্কেল) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( বি-সার্কেল) মারুফ আহম্দেসহ রংপুর জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় অনেক বছর আগে। ৮ সন্তানের মধ্যে ৭ জনই খোঁজ খবর নেন না। তবে তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধএক ছেলে ও তার স্ত্রী একটু দেখাশোনা করেন। বাকি সন্তানেরা কেউ তার খোঁজ রাখেন না। একারণে বেশিরভাগ সময়ই খেয়ে না খেয়ে কাটে তার দিন। তারপরেও পেতেন না বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। এমন করুণ পরিস্থিতিতে ওই বৃদ্ধা ছোট একটা ছাফড়া ঘরে বসবাস করতেন।

এবিষয়ে স্থানীয় ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ওই বৃদ্ধার ছেলে বয়স্ক ভাতার জন্য আমার কাছে আসলেও তার মা যে বেঁচে আছেন এটা আমি জানতামই না। এখন থেকে নিয়মিত তার খোঁজ খবর রাখবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here