দশকের পর দশক ধরে অসহায় ফিলিস্তিনিাদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার নিরীহ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে তারা। নেতানিয়াহু প্রশাসনের এমন লাগামহীন হত্যাযজ্ঞের কারণে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করে অনেক পশ্চিমা দেশও। কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশ ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত’ তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, এবার অস্ত্র উৎপাদন খাতেও বিনিয়োগ করেছে উপসাগরীয় দেশটি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির অস্ত্র নির্মাণ খাতে বিনিয়োগ করেছে তারা। ইসরায়েলি সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থার্ডআই সিস্টেমস জানিয়েছে, তারা আমিরাতের সরকারি মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এজ-এর কাছে এক কোটি ডলারে ৩০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে। ১৫ মাস আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি ইসরায়েলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরল সরকারি বিনিয়োগ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) ইসরায়েলি কোম্পানিটি জানিয়েছে, থার্ডআই সিস্টেমসের সাথে মালিকানাধীন নতুন একটি যৌথ উদ্যোগে অতিরিক্ত এক কোটি ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে এজ। এই যৌথ উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কে রয়েছে তা জানানো হয়নি। তবে ওই পক্ষ ৬ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে।
প্রধান নির্বাহী লিওর সেগাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এজ-এর বিনিয়োগ থার্ডআই সিস্টেমসকে নতুন বাজারে সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। এজ-এর সভাপতি রদ্রিগো টরেস জানিয়েছেন, এই চুক্তিটি পারস্পরিক লাভজনক এবং নতুন সিস্টেমের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
২০২১ সালেই উপসাগরীয় দেশটি তেলআবিবের সঙ্গে আগামী এক দশকে এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালানোর কথা জানায়। জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রতিটিখাতে একইসঙ্গে কাজ করার আশা প্রকাশ করেছে এই দুদেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ ব্যাপক মাত্রায় শুরু হয়। প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করে তারা।
সবুজদেশ/এসইউ