ঢাকাঃ

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব জানিয়েছেন, আমার বাবা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মারা গেছেন।

স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

এর আগে জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সিএমএইচে ভর্তি হন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তাকে। ওইদিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিকে, ১৮ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাহবুবে আলমকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

২০ সেপ্টেম্বর করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাখা হয়েছিল আইসিইউতেই।

সুপ্রিমকোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মাহবুবে আলম সুপ্রিমকোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here