ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি

আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের ছাড় নয়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় তার সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম।

ফেসবুকে তিনি লিখেন, ধর্মকে টুল হিসেবে ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী সংগঠন যদি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে তবে সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন, যেই জড়িত থাকুক না কেন, খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷ ষড়যন্ত্রকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়৷ বেশি ছাড় পেলে মাথায় ওঠে নাচবে। উগ্রপন্থির বিচার তার ধর্ম দেখে হয় না, উগ্রপন্থিতা দেখে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তোলা হয়। পরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তবে কারাগারে নিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুললে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করতে থাকে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর থেমে থেমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। পরে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। আদালত ভবন থেকে নেমে আসার সময় তারা সড়কের দুই পাশে রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
৮ Time View

সারজিস আলমের হুঁশিয়ারি

আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের ছাড় নয়, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

 

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় তার সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম।

ফেসবুকে তিনি লিখেন, ধর্মকে টুল হিসেবে ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী সংগঠন যদি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে তবে সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন, যেই জড়িত থাকুক না কেন, খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷ ষড়যন্ত্রকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়৷ বেশি ছাড় পেলে মাথায় ওঠে নাচবে। উগ্রপন্থির বিচার তার ধর্ম দেখে হয় না, উগ্রপন্থিতা দেখে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তোলা হয়। পরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তবে কারাগারে নিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুললে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করতে থাকে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর থেমে থেমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে চিন্ময় অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। পরে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। আদালত ভবন থেকে নেমে আসার সময় তারা সড়কের দুই পাশে রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।

সবুজদেশ/এসইউ