সবুজদেশ ডেক্সঃ  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের চেয়ে তাঁর স্ত্রী হাসনা মওদুদের আয় বেশি। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক খাতে মওদুদ আহমদের বার্ষিক আয় ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৬৬ টাকা। আর তাঁর স্ত্রীর আয় ২ কোটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৩ টাকা। বাড়িভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত এবং উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমি থেকে তাঁরা ওই টাকা আয় করেন।

মওদুদ আহমদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট) আসনে বিএনপির প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি আয়ের খাতে এসব তথ্য দিয়েছেন। মওদুদ আহমদ দেশের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হলেও হলফনামা অনুযায়ী এই খাতে তাঁর কোনো আয় নেই। বরং এই খাতে তাঁর বছরে লোকসান ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬০ টাকা।

২০০৮ সালের হলফনামায় মওদুদ আহমদ বাড়িভাড়া বাবদ বছরে ৪০ লাখ টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করলেও বর্তমানে এ খাতে তাঁর কোনো আয় নেই। তবে এই খাতে তাঁর স্ত্রী হাসনা মওদুদের আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। তাঁর স্ত্রী আগে বাড়িভাড়া থেকে আয় করতেন ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে আয় করেন ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭ টাকা।

এবারের হলফনামায় মওদুদ বলেছেন, তিনি শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় করেন ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৩৬ টাকা, তাঁর স্ত্রীর আয় ১৫ লাখ ৪ হাজার ১৩০ টাকা। ২০০৮ সালে এই খাত থেকে তাঁর আয় হতো ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৭ টাকা। তবে স্ত্রীর এ খাতে কোনো আয় ছিল না।

মওদুদ আহমদ হলফনামায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। ২০০৮ সালের হলফনামায় মামলার সংখ্যা ছিল ৯। বর্তমানে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা ৩টি, অভিযোগ গঠনের অপেক্ষায় ১টি, অভিযোগ গঠন স্থগিত ১টি, পুলিশ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় ৪টি, হাইকোর্টে স্থগিত ৯টি, থানার তদন্তাধীন ১টি, হাইকোর্টে বিচারাধীন ২টি এবং নিম্ন আদালতে চলমান ১টি মামলা।

হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১০ বছরে মওদুদের অস্থাবর সম্পদ বাড়লেও কমেছে স্থাবর সম্পদ। একই সময়ে তাঁর স্ত্রীর স্থাবর–অস্থাবর দুই সম্পদই বেড়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here