‘আইয়ুব খানও উন্নয়ন উন্নয়ন করতেন, তার পতনও আমরা দেখেছি’
ঢাকাঃ
সরকারের সমালোচনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আইয়ুব খানও উন্নয়ন উন্নয়ন করতেন, কিন্তু তার পতনও আমরা দেখেছি।’
শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে জেএসডির কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, ‘উন্নয়নের কথা বলে যে পতন হয়, তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ আইয়ুব খানের ব্যাপার। তারা সব সময় জোর দাবি করতেন উন্নয়নের। উন্নয়নের কথা মুখে বলা হয়। এত উন্নয়ন তাহলে ঋণের বোঝা বাড়ছে কেন? করের টাকায় সরকার রাষ্ট্র চালাতে পারছে না। ঋণ করে চালাতে হচ্ছে।’
দেশে যে ধরনের শাসনব্যবস্থা চলছে, সেটা সংবিধানের কথামতো চলছে না বলে মন্তব্য করেন সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা। তিনি বলেন, জীবন দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন শহীদেরা। কিন্তু স্বাধীনতার ফসল কেউ কেউ ভোগ করতে দিচ্ছে না। দেশে গণতন্ত্র কার্যকরভাবেও কেউ ভোগ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. কামাল বলেন, ‘আপনারা নির্বাচন দিন। প্রথমে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন করতে হবে সৎ এবং সুস্থ।’
এ সময় গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে ডা. কামাল বলেন, ‘যে ঐক্য হয়েছে- তা স্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। যে দাবি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল- তা ভোগ করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের আরও বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করতে হবে। শুধু ঐক্যফ্রন্ট নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দলগুলো, অন্য জোটগুলোসহ সারা দেশের মানুষকে এক করে লড়াই করতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে কোনো স্বৈরশাসন, কোনো একনায়কই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
জেএসডির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, বিকল্পধারার নুরুল আমীন ব্যাপারী, জেএসডির তানিয়া রব, মো. সিরাজ মিয়া।