শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে আগামী মাসের মধ্যে ফয়সালা হবে। রোববার জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সাংসদ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী ডিসেম্বরের আগে কতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে—তা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান জাহাঙ্গীর হোসাইন। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় না করলে এমপিও দেওয়া যায় না। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে এবং কিছু টাকা বরাদ্দও দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করবেন। এসব আবেদন বাছাই করা হবে। কিসের ভিত্তিতে এমপিও দেওয়া হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়ে আগামী মাসের মধ্যে ফয়সালা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কতসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হবে, তা এখনই তিনি বলতে চান না। তবে সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আগামী মাসের মধ্যে এমপিওর বিষয়ে ফয়সালা হবে।

লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সব বোর্ডের সমন্বিত উদ্যোগে প্রশ্ন ব্যাংক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।

মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই, সেখানে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি করার পরিকল্পনা আছে।

সরকারি দলের ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমানে দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯৪ জন।

সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আক্তার জাহানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, হিজড়াদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কর্মসূচি আছে। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে পরিবারের ভেতর পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হিজড়াদের সমাজের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা। এ কারণে পরিবারে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি সেমিনার করা হবে। সেখানে থেকে যেসব মতামত পাওয়া যাবে, তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের মধ্যে বেচার জন্য বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরে ২৬টি প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার ২২০টি প্লট তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে ১৩টি ফ্ল্যাট প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৭৫৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২৯টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০ হাজার ৮৫৫টি প্লট এবং ২১টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৯১টি ফ্ল্যাট ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ হাজার ১৯১টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here