ঢাকাঃ

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জন।

রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলামের চেম্বারে তাদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলামের চেম্বার সূত্রে জাগো নিউজ জানতে পেরেছে, হাইকোর্টে ছয়জনের জামিন আবেদনের প্রস্তুতি চলছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জামিন আবেদনের প্রস্তুতি চলছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম। তিনি তাদের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম ১০ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন- প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, নির্বাহী শাহপরাণ তুষার, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, ডেকোরেশন ও জেনারেটর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।

গত বছরের ১ নভেম্বর প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’র বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার (১৫)। সে নবম শ্রেণির (দিবা) ‘গ’ শাখার ছাত্র ছিল। ঘটনার পরদিন প্রথমে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন আবরারের বাবা মজিবুর রহমান।

পরে ৬ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করেন আবরারের বাবা। মামলায় পেনাল কোডের ৩০৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়। আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আবরারের সহপাঠীদের অভিযোগ, আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আয়োজক কর্তৃপক্ষ তাকে আশপাশের কোনো হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here