ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগুনে মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও পুড়ে গেল

Reporter Name

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

করোনা আতঙ্কের মধ্যে কোন কাজ নেই। এরই মধ্যে মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল। রাতে কোথায় থাকবো জানি না। নিজের থাকার ছোট্ট কুড়ে ঘরটি হারিয়ে এভাবে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানালেন সাতক্ষীরার তালা সদরের খানপুর গ্রামের আয়েশা বেগম।

তিনি বলেন, দুপুরে রান্না ঘরে ভাত রান্না করছিলাম। এরই মধ্যে অন্যকাজ করতে একটু বাইরে আসি। কিছুক্ষণের মধ্যেই রান্নাঘরসহ পাশে থাকার ঘরটিও পুড়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পড়নের কাপড়টি ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই।

করোনা পরিস্থিতিতে কাজ নেই স্বামী আব্দুস সামাদ সরদারের। এখনো মেলেনি কোন সরকারি খাদ্য সহায়তাও। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের ঘরবাড়ি।

আয়েশার স্বামী দিনমজুর আব্দুস সামাদ সরদার জানান, আমি দিনমজুর মানুষ। করোনার মধ্যে কোন কাজ নেই। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল।  বে সরকারি একটি সংস্থার দেওয়া কুড়েঘরে বসবাস করি। সেটিও আর থাকলো না। খাবারের কিছুই নেই। জামা কাপড় সব পুড়ে গেছে। ঘরে যেটুকু ছিল সবটুকুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম এসে এক হাজার টাকা দিয়েছেন কিছু কিনে খাওয়ার জন্য।

তালা সদরের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম নজরুল ইসলাম জানান, পরিবারটি খুব অসহায়। খেঁটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই থাকার ঘর, রান্না ঘরটি হারিয়ে নতুনভাবে বিপদের সম্মূখীন হয়ে পড়ল পরিবারটি। বে সরকারি সংস্থা বাঁচতে শেখার দেওয়া ঘরে বসবাস করতেন তারা।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
৩১৬ Time View

আগুনে মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও পুড়ে গেল

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

করোনা আতঙ্কের মধ্যে কোন কাজ নেই। এরই মধ্যে মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল। রাতে কোথায় থাকবো জানি না। নিজের থাকার ছোট্ট কুড়ে ঘরটি হারিয়ে এভাবে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানালেন সাতক্ষীরার তালা সদরের খানপুর গ্রামের আয়েশা বেগম।

তিনি বলেন, দুপুরে রান্না ঘরে ভাত রান্না করছিলাম। এরই মধ্যে অন্যকাজ করতে একটু বাইরে আসি। কিছুক্ষণের মধ্যেই রান্নাঘরসহ পাশে থাকার ঘরটিও পুড়ে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘরে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পড়নের কাপড়টি ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই।

করোনা পরিস্থিতিতে কাজ নেই স্বামী আব্দুস সামাদ সরদারের। এখনো মেলেনি কোন সরকারি খাদ্য সহায়তাও। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের ঘরবাড়ি।

আয়েশার স্বামী দিনমজুর আব্দুস সামাদ সরদার জানান, আমি দিনমজুর মানুষ। করোনার মধ্যে কোন কাজ নেই। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল।  বে সরকারি একটি সংস্থার দেওয়া কুড়েঘরে বসবাস করি। সেটিও আর থাকলো না। খাবারের কিছুই নেই। জামা কাপড় সব পুড়ে গেছে। ঘরে যেটুকু ছিল সবটুকুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম এসে এক হাজার টাকা দিয়েছেন কিছু কিনে খাওয়ার জন্য।

তালা সদরের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম নজরুল ইসলাম জানান, পরিবারটি খুব অসহায়। খেঁটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই থাকার ঘর, রান্না ঘরটি হারিয়ে নতুনভাবে বিপদের সম্মূখীন হয়ে পড়ল পরিবারটি। বে সরকারি সংস্থা বাঁচতে শেখার দেওয়া ঘরে বসবাস করতেন তারা।