সবুজদেশ ডেস্কঃ
ঢাকায় একটি বেসরকারি চাকরি করতেন। ছুটিতে বাড়ি এসে পেঁপে পাড়তে উঠে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে শরীরের একটি অংশ পুড়ে যায়। কেটে ফেলতে হয় একটি হাত। এরপর ঢাকায় আর ফেরা হয়নি। এরপর বাবাকে হারান। সংসারের ভার আসে তানজীরের কাঁধে।
উপায় না পেয়ে যেটুকু সম্বল ছিল সেটুকু দিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামে একটি দোকান করেন। শনিবার রাতে সেটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অসহায় তানজীরের মুখে এখন হতাশার ছাপ।
অসহায় তানজীর ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে। ৫ ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই আলাদা থাকেন। ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে একসঙ্গে থাকেন তানজীর।
স্থানীয়রা জানান, এই দোকানেই রাতে থাকে তানজীর। রোজা থাকবে বলে বিছানাপত্র বাড়িতে নিয়ে গেছে। শনিবার এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। এরপর হঠাৎ আগুন লাগে তার দোকানে। মুহুর্তেই মধ্যেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নামাজের সময় হওয়ায় কেউ তেমন সহযোগিতা করতে পারেনি।
অসহায় তানজীর ইসলাম জানান, তিনি দোকানেই রাতে থাকতেন। কিন্তু রোজা রাখবেন বলে বিছানাপত্র নিয়ে বাসায় চলে যান। এশার নামাজ পড়ে মসজিদেই ছিলেন। এরপর খবর আসে দোকানে আগুন ধরেছে। দোকানের কোনো কিছু অবশিষ্ট নাই। সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর এই দোকানের ওপর নির্ভরশীল। তেমন জায়গা জমিও নাই। ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে তিনি কীভাবে খরচ চালাব সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। দোকানে কাঠ ও বাঁশের ব্যবহার বেশি থাকায় ফায়ার সার্ভিংসের কর্মীরা যাওয়ার আগেই সব কিছু পুড়ে যায়।
সবুজদেশ/এস ইউ