আগে ঘরকে শাস্তি, তারপর অন্যের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
যশোরঃ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। আগে ঘরের লোকের শাস্তি দিবো। তারপর পরের লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ঘরকে শাস্তি দিয়ে পরকে শেখাবো। সারাদেশে শুদ্ধি অভিযান চলবে।
বুধবার দুপুরে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দীর্ঘদিন দলে পদ পায়নি, তাদের পদ দিতে হবে। নেতাদের পিছনে ঘুরে বেড়াই। তারা পরিচয় দিতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করছে, আওয়ামী লীগে পদ নেই। মৌসুমী পাখিদের গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামের সময় মৌসুমী পাখিদের পাওয়া যাবে না। নেতাদের আচরণ ভাল করতে হবে। কারণ এশটি খারাপ আচরণে দশটি উন্নয়ন ঢেকে যাবে। আওয়ামী লীগ চায় বিশুদ্ধ রক্ত। দূষিত রক্তের দরকার নেই। আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধ রক্তের অভাব নেই।
দলের ত্যাগী নেতাদের খোঁজখবর নেওয়ার তাগিদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ ছিল। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। কিছু নেতার কপাল খুলেছে। কিন্তু ত্যাগী নেতাদের অনেকেই এখনো কুড়েঘরে বসবাস করেন। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারেন না। অনেকে অসুস্থ আছেন। চিকিৎসা করাতে পারছে না। দলের নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দরজা খোলা। প্রয়োজনে তিনি বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। আপনার আমাদের জানাবেন।
দুপুর ১২টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্রাচার্য্য। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহিন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। পরে ৭১ সদস্য বিশিস্ট জেলা আওয়ামী লীড়ের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এবারের সম্মেলনে ৪৫৫ জন কাউন্সিলার ও প্রায় ১১ হাজার ডেলিগেট রয়েছে।