ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ সফলতম অধিনায়ক ম্যাশের জন্মদিন

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

৩৭ বছরে পা পড়ল দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার।

আজ (৫ অক্টোবর) তার ৩৭তম শুভ জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের এই দিনে নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।

ক্রিকেটে অনিয়মিত হলেও অবসরের ঘোষণা দেননি মাশরাফি। তবে খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় তিনি।

জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন।

ক্রিকেটপেমীদের কাছে মাশরাফির প্রথম পরিচয় লড়াকু এক যোদ্ধা। যিনি বারবার পায়ে অস্ত্রোপচারের পরও মাঠে নেমে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ক্রিকেট ১৮ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে নড়াইল এক্সপ্রেসের। ২০০১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামেন তিনি। অভিষেকেই ৪ উইকেট শিকার করে আলাদাভাবে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়েছিলেন মাশরাফি।

একই সফরের ওয়ানডে সিরিজে রঙিন পোশাকে অভিষেক ঘটে তার। সেখানেও চমক দেখান। ৮.২ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন অভিষিক্ত মাশরাফি। যদিও সেই ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।

১৯ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৬টি টেস্ট খেলতে পারলেও এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার তিনিই।

টেস্টে তার মোট শিকার ৭৮ উইকেট, ব্যাট হাতে তিন ফিফটিতে ৭৯৭ রান করেছেন।

পঞ্চাশ ওভারের সীমিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২০ ওয়ানডে খেলেছেন মাশরাফি।

শিকার করেছেন ২৭০ উইকেট, যা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন পর্যন্ত তারই দখলে। ২০০৬ সালে ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

দলের মূল পেসার হলেও মাশরাফির ব্যাটের ওপর ভরসা করেই দেশের ক্রিকেট এগিয়েছে। শেষ দিকে নেমে চার-ছক্কায় রানকে কত এগিয়ে নেয়া যায় সে লক্ষ্যেই মাঠে নামতেন। ওয়ানডেতে মাশরাফির সংগ্রহ ১৭৮৭ রান।

অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে সফল মাশরাফিই। অনেকের মতে, দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়কও তিনি।

তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছে, এশিয়া কাপের রানারআপ হয়েছে দুবার। এ ছাড়া বহুজাতিক সিরিজের প্রথম শিরোপা এসেছে মাশরাফির অধিনায়কত্বেই।

মাশরাফির নেতৃত্বে ৮৮ ম্যাচে ৫০টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা আর কোনো অধিনায়কের বেলায় ঘটেনি।

About Author Information
আপডেট সময় : ১২:১১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
২৬৩ Time View

আজ সফলতম অধিনায়ক ম্যাশের জন্মদিন

আপডেট সময় : ১২:১১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

৩৭ বছরে পা পড়ল দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার।

আজ (৫ অক্টোবর) তার ৩৭তম শুভ জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের এই দিনে নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।

ক্রিকেটে অনিয়মিত হলেও অবসরের ঘোষণা দেননি মাশরাফি। তবে খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় তিনি।

জনহিতৈষী কর্মকাণ্ডে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন।

ক্রিকেটপেমীদের কাছে মাশরাফির প্রথম পরিচয় লড়াকু এক যোদ্ধা। যিনি বারবার পায়ে অস্ত্রোপচারের পরও মাঠে নেমে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ক্রিকেট ১৮ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে নড়াইল এক্সপ্রেসের। ২০০১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম মাঠে নামেন তিনি। অভিষেকেই ৪ উইকেট শিকার করে আলাদাভাবে নিজের উপস্থিতির জানান দিয়েছিলেন মাশরাফি।

একই সফরের ওয়ানডে সিরিজে রঙিন পোশাকে অভিষেক ঘটে তার। সেখানেও চমক দেখান। ৮.২ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন অভিষিক্ত মাশরাফি। যদিও সেই ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।

১৯ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৬টি টেস্ট খেলতে পারলেও এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার তিনিই।

টেস্টে তার মোট শিকার ৭৮ উইকেট, ব্যাট হাতে তিন ফিফটিতে ৭৯৭ রান করেছেন।

পঞ্চাশ ওভারের সীমিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২০ ওয়ানডে খেলেছেন মাশরাফি।

শিকার করেছেন ২৭০ উইকেট, যা দেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এখন পর্যন্ত তারই দখলে। ২০০৬ সালে ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

দলের মূল পেসার হলেও মাশরাফির ব্যাটের ওপর ভরসা করেই দেশের ক্রিকেট এগিয়েছে। শেষ দিকে নেমে চার-ছক্কায় রানকে কত এগিয়ে নেয়া যায় সে লক্ষ্যেই মাঠে নামতেন। ওয়ানডেতে মাশরাফির সংগ্রহ ১৭৮৭ রান।

অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে সফল মাশরাফিই। অনেকের মতে, দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়কও তিনি।

তার হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছে, এশিয়া কাপের রানারআপ হয়েছে দুবার। এ ছাড়া বহুজাতিক সিরিজের প্রথম শিরোপা এসেছে মাশরাফির অধিনায়কত্বেই।

মাশরাফির নেতৃত্বে ৮৮ ম্যাচে ৫০টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা আর কোনো অধিনায়কের বেলায় ঘটেনি।