ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি: চক্রের ৭ সদস্য আটক

Reporter Name

যশোরঃ

যশোরে কহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে অপহরণকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা ও যশোর পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আলমগীর হোসেন ওরফে হাজী সুমনের বাড়ির একটি মেস থেকে তাদের আটক করা হয়। অপহৃত কহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

আটককৃতরা হলেন- যশোর শহরের জেল রোড এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের জাহিদুল ইসলাম (৪৭), সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. নয়ন (৩৯), পাবনার ঈশ্বরদী থানার পিয়ারখালী গোরস্থানপাড়ার মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে সনি (৩৪), যশোর সদরের শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার মোসলেম আলীর ছেলে রাব্বি হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৬), যশোর শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার হোসেন আলী গাজীর ছেলে গোলাম রসুল (৩৬), শহরের মুড়লী আমতলী এলাকার হালিম ফকিরের ছেলে শওকত হোসেন ওরফে আপন (৩০), ষষ্ঠীতলা পিটিআই স্কুলের পিছনের বাসিন্দা শ্রীশ্যাম মন্ডলের ছেলে মানিক মন্ডল (৩১)।

সোমবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিং এ যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল হক জানান, ৪ জানুয়ারি অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কেট বিক্রির কথা বলে ফোন করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের কহিদুল ইসলামকে (২৮) যশোরে ডেকে আনে। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরের দিন (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাড়ে চারটা পর্যন্ত শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা কাউন্সিলনর হাজী সুমনের মালিকানাধীন একটি মেস বাসায় আটকে রেখে মারপিট করে। কহিদুলের বড়ভাই রাশিদুল ইসলামের কাছে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় ভিকটিমের কাছে থাকা আশি হাজার টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আরও ১৯ হাজার ৬’শ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। মাইকপট্টি এলাকা থেকে ভিকমিটকে উদ্ধার ও দুই অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে কাউন্সিলর আলমগীর কবীর ওরফে হাজী সুমনের মালিকানাধীন মেসের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আরও পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থেকে মুক্তিপণের ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা, তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, একটি ব্যাংক চেক, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের পুরাতন ও নষ্ট মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কেট জব্দ করা হয়।

এসআই মফিজুল ইসলাম আরও জানান, ভিকটিমের ভাই কোতয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০
২৯২ Time View

আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি: চক্রের ৭ সদস্য আটক

আপডেট সময় : ০৭:১০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

যশোরঃ

যশোরে কহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবককে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে অপহরণকারী চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা ও যশোর পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আলমগীর হোসেন ওরফে হাজী সুমনের বাড়ির একটি মেস থেকে তাদের আটক করা হয়। অপহৃত কহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের বাসিন্দা।

আটককৃতরা হলেন- যশোর শহরের জেল রোড এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের জাহিদুল ইসলাম (৪৭), সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. নয়ন (৩৯), পাবনার ঈশ্বরদী থানার পিয়ারখালী গোরস্থানপাড়ার মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে নূর ইসলাম ওরফে সনি (৩৪), যশোর সদরের শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার মোসলেম আলীর ছেলে রাব্বি হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৬), যশোর শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার হোসেন আলী গাজীর ছেলে গোলাম রসুল (৩৬), শহরের মুড়লী আমতলী এলাকার হালিম ফকিরের ছেলে শওকত হোসেন ওরফে আপন (৩০), ষষ্ঠীতলা পিটিআই স্কুলের পিছনের বাসিন্দা শ্রীশ্যাম মন্ডলের ছেলে মানিক মন্ডল (৩১)।

সোমবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিং এ যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল হক জানান, ৪ জানুয়ারি অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কেট বিক্রির কথা বলে ফোন করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারি গ্রামের কহিদুল ইসলামকে (২৮) যশোরে ডেকে আনে। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরের দিন (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাড়ে চারটা পর্যন্ত শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা কাউন্সিলনর হাজী সুমনের মালিকানাধীন একটি মেস বাসায় আটকে রেখে মারপিট করে। কহিদুলের বড়ভাই রাশিদুল ইসলামের কাছে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় ভিকটিমের কাছে থাকা আশি হাজার টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আরও ১৯ হাজার ৬’শ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। মাইকপট্টি এলাকা থেকে ভিকমিটকে উদ্ধার ও দুই অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে কাউন্সিলর আলমগীর কবীর ওরফে হাজী সুমনের মালিকানাধীন মেসের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আরও পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থেকে মুক্তিপণের ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা, তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, একটি ব্যাংক চেক, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের পুরাতন ও নষ্ট মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড ও সার্কেট জব্দ করা হয়।

এসআই মফিজুল ইসলাম আরও জানান, ভিকটিমের ভাই কোতয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।