ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট বছর পর আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হতে যাচ্ছে

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আট বছর বন্ধ থাকার পর খুব শিগগিরই বাংলাদেশি জনশক্তির জন্য ভিসা দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

রোববার স্থানীয় সময় বিকালে আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ের আল তাফহিম সার্ভিস সেন্টার অফিসে বাংলাদেশি সংবাদ কর্মীদের  এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানায় বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানির ব্যাপারে দেশটির দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা গালফ কোঅপারেশন সেন্টার (জিসিসি) এবং তাফহিম সার্ভিস সেন্টার।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংস্থা দুটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অত্যন্ত নিবিড় বন্ধন রয়েছে। দীর্ঘ আট বছর পর কিছু শর্ত সাপেক্ষে আমাদের সরকার ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির জন্য তাদের জনশক্তি দুয়ার খুলে দিতে চায়।”

জিসিসি সেন্টারের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মুয়াল্লাহ এবং তাফহিম সার্ভিস সেন্টারের পরিচালক শেখ সাকর বিন মোহাম্মদ বিন হুমায়েদ আল নুয়েইমি সংবাদ সম্মেলনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

গত এক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ব্যক্তিগত সফরসহ মোট চারবার আমিরাত সফর করেন। তার এসব সফরের পরপরই জিসিসি ও তাহফিম সার্ভিস সেন্টার গঠিত হয়, যেগুলো কেবল বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানির জন্যই কাজ করছে।

আইনবিরোধীদের কাজে জড়িয়ে পড়ায় ২০১২ সাল থেকে আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মীভিসাসহ প্রায় সকল ভিসা বন্ধ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, তারা নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি আমিরাতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কর্মীদের দেশের আইন-কানুন নিয়ে সতর্কীকরণের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এর বাইরে বাংলাদেশ থেকে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী নিয়োগসহ কয়েকটি শর্ত পূরণ করা গেলে বন্ধ ভিসার দ্বার উম্মুক্ত হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিসিসি সেন্টার, তাফহিম সার্ভিস সেন্টার ও বাংলাদেশের ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন রাশিদ আল-মুয়াল্লাহ এবং আল-নুয়েইমী। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “আমিরাতে প্রতিটি কর্মীর মজুরি ওয়েজ প্রটেকশান সিস্টেম এবং বীমা দ্বারা সুরক্ষিত। কোনও কর্মদাতা কর্মীদের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে তাঁরা বেতন থেকে বঞ্চিত হন না। তাই আমরাও চাই আমাদের আইন কানুন,সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী।”  

“আমরা বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করব যাতে এখানে এসে কোন সমস্যায় পড়লে তারা তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন।আমরা বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কল্যাণ ও নিয়মিত মজুরিপ্রাপ্তি পর্যবেক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করতে চাই। ২০১২ সালে যে সমস্যা হয়েছে তা কোন জাতিগত কারণে হয়নি, তা হয়েছে অজ্ঞানতার কারণে।”

“আমাদের প্রতিষ্ঠিত জিসিসি সেন্টার ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করবে এবং তা তদারক করবে। আমরা বাংলাদেশি অভিবাসীদের দুই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একই জায়গায় করার ব্যবস্থা করব।”

এ বছরের ২০ অক্টোবরে পর্দা উঠতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো’র। তার আগেই বাংলাদেশি শ্রমবাজার পুনরায় উম্মুক্ত হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাশিদ আল মুয়াল্লাহ এবং হুমাইদ আল-নুয়েইমী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:১৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০
৭৬৭ Time View

আট বছর পর আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হতে যাচ্ছে

আপডেট সময় : ০৮:১৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আট বছর বন্ধ থাকার পর খুব শিগগিরই বাংলাদেশি জনশক্তির জন্য ভিসা দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

রোববার স্থানীয় সময় বিকালে আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ের আল তাফহিম সার্ভিস সেন্টার অফিসে বাংলাদেশি সংবাদ কর্মীদের  এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানায় বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানির ব্যাপারে দেশটির দুই দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা গালফ কোঅপারেশন সেন্টার (জিসিসি) এবং তাফহিম সার্ভিস সেন্টার।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংস্থা দুটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অত্যন্ত নিবিড় বন্ধন রয়েছে। দীর্ঘ আট বছর পর কিছু শর্ত সাপেক্ষে আমাদের সরকার ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটির জন্য তাদের জনশক্তি দুয়ার খুলে দিতে চায়।”

জিসিসি সেন্টারের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মুয়াল্লাহ এবং তাফহিম সার্ভিস সেন্টারের পরিচালক শেখ সাকর বিন মোহাম্মদ বিন হুমায়েদ আল নুয়েইমি সংবাদ সম্মেলনে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

গত এক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ব্যক্তিগত সফরসহ মোট চারবার আমিরাত সফর করেন। তার এসব সফরের পরপরই জিসিসি ও তাহফিম সার্ভিস সেন্টার গঠিত হয়, যেগুলো কেবল বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানির জন্যই কাজ করছে।

আইনবিরোধীদের কাজে জড়িয়ে পড়ায় ২০১২ সাল থেকে আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মীভিসাসহ প্রায় সকল ভিসা বন্ধ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, তারা নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি আমিরাতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন কর্মীদের দেশের আইন-কানুন নিয়ে সতর্কীকরণের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এর বাইরে বাংলাদেশ থেকে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী নিয়োগসহ কয়েকটি শর্ত পূরণ করা গেলে বন্ধ ভিসার দ্বার উম্মুক্ত হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জিসিসি সেন্টার, তাফহিম সার্ভিস সেন্টার ও বাংলাদেশের ওয়েলফেয়ার সেন্টার নামে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন রাশিদ আল-মুয়াল্লাহ এবং আল-নুয়েইমী। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “আমিরাতে প্রতিটি কর্মীর মজুরি ওয়েজ প্রটেকশান সিস্টেম এবং বীমা দ্বারা সুরক্ষিত। কোনও কর্মদাতা কর্মীদের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে তাঁরা বেতন থেকে বঞ্চিত হন না। তাই আমরাও চাই আমাদের আইন কানুন,সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী।”  

“আমরা বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করব যাতে এখানে এসে কোন সমস্যায় পড়লে তারা তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন।আমরা বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কল্যাণ ও নিয়মিত মজুরিপ্রাপ্তি পর্যবেক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করতে চাই। ২০১২ সালে যে সমস্যা হয়েছে তা কোন জাতিগত কারণে হয়নি, তা হয়েছে অজ্ঞানতার কারণে।”

“আমাদের প্রতিষ্ঠিত জিসিসি সেন্টার ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করবে এবং তা তদারক করবে। আমরা বাংলাদেশি অভিবাসীদের দুই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একই জায়গায় করার ব্যবস্থা করব।”

এ বছরের ২০ অক্টোবরে পর্দা উঠতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপো’র। তার আগেই বাংলাদেশি শ্রমবাজার পুনরায় উম্মুক্ত হতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাশিদ আল মুয়াল্লাহ এবং হুমাইদ আল-নুয়েইমী।