নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মালখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত দল আদালতের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এখন ফুটেজের সূত্র ধরে বিস্ফোরণের আসল রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
বিস্ফোরণস্থল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নিচ তলায় পশ্চিম কোনের বিশাল কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের এসআই ইমামুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোববারের বিস্ফোরণ ছিল ভয়াবহ। বিস্ফোরণে লোহার অ্যাংগেলগুলো ছুটে এদিক সেদিক ছড়িয়ে পড়ে। মালখানার দেওয়ালে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ছাদের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় কয়েক হাজার মামলার আলামত ধ্বংস হয়ে গেছে।
আদালত সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র জানায়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের বিচারাধীন মামলার আলামত মালখানায় মজুত ছিল। যার সিংহভাগ ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলামতের মধ্যে ফেনসিডিল, দেশি-বিদেশি মদ, গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র ছিল। কিছু ফাইলপত্রও ছিল।
পুলিশের তদন্ত দলের প্রধান ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, ইতোমধ্যে আদালতের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়েলডিং মেশিন থেকে আগুন ধরার ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরণ হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিচতলায় মালখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন। ঘটনার সময় মালখানায় লোহার র্যাক তৈরির কাজ চলছিল।