ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আধিপত্য বিস্তার: বিএনপি কর্মীকে হত্যা

Reporter Name

যশোরে বিএনপির কর্মী মশিয়ার রহমানকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোর শহরের শঙ্করপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মশিয়ার রহমান যশোর শহরের শঙ্করপুর এলাকার তকব্বর শেখের ছেলে। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফার ছেলে মিশ্র ও তাঁর চাচা গোলাম রসুলের সঙ্গে মশিয়ার রহমানের ভাতিজা শোভনের দ্বন্দ্ব ছিল। সন্ধ্যায় ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত শোভনকে মারতে যায়। এ সময় মশিয়ার লাঠি নিয়ে তাড়া দিয়ে তাদের প্রতিহত করেন। কিছুক্ষণ পর দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন মশিয়ার। সেখানে গিয়ে তারা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মশিয়ারকে হত্যা করে চলে যায়।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মশিয়ারের ভাতিজা শোভনের সঙ্গে কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফার ছেলে মিশ্রর দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার ছেলে ও ভাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁরা এলাকায় ছিল না।’

যশোর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘মশিয়ার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে ঠিক কী কারণে দুর্বৃত্তরা মশিয়ারকে খুন করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারিনি।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮
৮৭৭ Time View

আধিপত্য বিস্তার: বিএনপি কর্মীকে হত্যা

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৮

যশোরে বিএনপির কর্মী মশিয়ার রহমানকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোর শহরের শঙ্করপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মশিয়ার রহমান যশোর শহরের শঙ্করপুর এলাকার তকব্বর শেখের ছেলে। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফার ছেলে মিশ্র ও তাঁর চাচা গোলাম রসুলের সঙ্গে মশিয়ার রহমানের ভাতিজা শোভনের দ্বন্দ্ব ছিল। সন্ধ্যায় ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত শোভনকে মারতে যায়। এ সময় মশিয়ার লাঠি নিয়ে তাড়া দিয়ে তাদের প্রতিহত করেন। কিছুক্ষণ পর দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন মশিয়ার। সেখানে গিয়ে তারা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মশিয়ারকে হত্যা করে চলে যায়।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মশিয়ারের ভাতিজা শোভনের সঙ্গে কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফার ছেলে মিশ্রর দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার ছেলে ও ভাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তাঁরা এলাকায় ছিল না।’

যশোর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘মশিয়ার বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে ঠিক কী কারণে দুর্বৃত্তরা মশিয়ারকে খুন করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারিনি।’