ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনার হত্যার এক বছর: যা বললো আনারকন্যা ডরিন

 

ভারতের কলকাতায় সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার এক বছর আজ। এই এক বছরে এখনো মরদেহের খণ্ডাংশ পাইনি পরিবার। দ্রুত মরদেহের খণ্ডাংশ পাওয়া ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

জানা গেছে, গত বছরের ১২ মে ভারতের কলাকাতায় যান সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানে তিনি কলকাতার বরাহনগর এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। এরপর ১৩ মে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের ৯ দিন পর ২২ মে ভারতের নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের বিউ-৫৬ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে তার খন্ড-বিখন্ড মরদেহ উদ্ধার করে কলকাতার পুলিশ। এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন সাবেক এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এখন পর্যন্ত সাবেক এমপি আনার হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ জনকে বাংলাদেশে ও দুইজনকে ভারত ও নেপালে আটক করা হয়েছে। সাবেক এমপি আনার হত্যায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ট আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

সাবেক এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ভারতে গিয়ে ডিএনএ দিয়েছি। মরদেহের খণ্ডাংশের সাথে তার ডিএনএ মিলেছে বলে ভারতের সিআইডি জানিয়েছেন। কিন্তু অফিশিয়ালভাবে কোন কাগজ এখনো পাইনি। ভারতের সিআইডি কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কোন সাড়া দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ডিএনএর রিপোর্টটি খুবই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, হত্যার সাথে জড়িতরা ইতিমধ্যে জামিনের জন্য চেষ্টা করছে। এই মুহুর্তে যদি তাদের জামিন হয়ে যায় তাহলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হবে। তিনি হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। একজন আইন প্রণেতাকে এভাবে দেশের বাইরে হত্যার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। হত্যার এক বছরে কালীগঞ্জের বাড়িতে এতিমখানার শিশুদের দিয়ে কোরআন খতম ও মিলাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই এক বছরে বাবার দাফন ও জানাযার ব্যবস্থা করতে পারিনি। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। তিনি দ্রুতই বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ পেয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে চান বলে জানান।

তবে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় সাবেক এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাহাউল্লাহ খানের মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সবুজদেশ/এসএএস

আনার হত্যার এক বছর: যা বললো আনারকন্যা ডরিন

Update Time : ০৩:২৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

ভারতের কলকাতায় সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার এক বছর আজ। এই এক বছরে এখনো মরদেহের খণ্ডাংশ পাইনি পরিবার। দ্রুত মরদেহের খণ্ডাংশ পাওয়া ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

জানা গেছে, গত বছরের ১২ মে ভারতের কলাকাতায় যান সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানে তিনি কলকাতার বরাহনগর এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। এরপর ১৩ মে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের ৯ দিন পর ২২ মে ভারতের নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের বিউ-৫৬ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে তার খন্ড-বিখন্ড মরদেহ উদ্ধার করে কলকাতার পুলিশ। এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন সাবেক এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। এখন পর্যন্ত সাবেক এমপি আনার হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭ জনকে বাংলাদেশে ও দুইজনকে ভারত ও নেপালে আটক করা হয়েছে। সাবেক এমপি আনার হত্যায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ট আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আক্তারুজ্জামান শাহীন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

সাবেক এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ভারতে গিয়ে ডিএনএ দিয়েছি। মরদেহের খণ্ডাংশের সাথে তার ডিএনএ মিলেছে বলে ভারতের সিআইডি জানিয়েছেন। কিন্তু অফিশিয়ালভাবে কোন কাগজ এখনো পাইনি। ভারতের সিআইডি কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কোন সাড়া দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ডিএনএর রিপোর্টটি খুবই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, হত্যার সাথে জড়িতরা ইতিমধ্যে জামিনের জন্য চেষ্টা করছে। এই মুহুর্তে যদি তাদের জামিন হয়ে যায় তাহলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হবে। তিনি হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। একজন আইন প্রণেতাকে এভাবে দেশের বাইরে হত্যার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। হত্যার এক বছরে কালীগঞ্জের বাড়িতে এতিমখানার শিশুদের দিয়ে কোরআন খতম ও মিলাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই এক বছরে বাবার দাফন ও জানাযার ব্যবস্থা করতে পারিনি। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। তিনি দ্রুতই বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ পেয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে চান বলে জানান।

তবে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় সাবেক এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাহাউল্লাহ খানের মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সবুজদেশ/এসএএস