কুষ্টিয়াঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ফায়াজ ও দুই নারীকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফায়াজ তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি পুলিশের এডিশনাল এসপি ‘মোস্তাফিজুর রহমান’কে দায়ী করেছেন।  

জানা যায়, বুধবার বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরারদের বাড়ি কুষ্টিয়ায় গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আবরারের ছোট ভাইসহ আহত হন তিনজন।

ফায়াজ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন-

‘আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়ার? আমার ভাবি কে মারছে? নারী দের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকার দের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২মিনিটে জানাযা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্র লীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? বিচার চাই,,আমি বিচার চাই,,, নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন বাবা মা কষ্ট একবারে পাবে।।।’

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরারের গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছান। এরপরই এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আবরারের মৃত্যু, তার জানাজায় বুয়েট উপাচার্যের উপস্থিত না থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ জানান এলাকাবাসী।

বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল সোমবার বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকতুল্লাহ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি ও চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতা-কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here