ঢাকাঃ

আবরার ফাহাদের জানাজায় উপস্থিত হতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি ক্ষমা চান।

উপাচার্য বলেন, ‘আবরারের ময়নাতদন্তের পর ক্যাম্পাসে যে জানাজা হবে সেই ইনফরমেশন আমার কাছে ছিল না। একটা গ্যাপ হয়েছিল। পরে জানতে পেরে যখন যেতে চেয়েছি, ততক্ষণে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে এই জবাবদিহির দাবিও ছিল। সপ্তম দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এবং ৩৮ ঘণ্টা পরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন। কেন তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে এর জবাবদিহি করতে হবে।’

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here