ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও কোটচাঁদপুরে মাদক উদ্ধার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!

 

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ঋষি পাড়ায় এবার মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়েছেন খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রশ্ন উঠেছে এ অভিযান নিয়েও । উদ্ধার হওয়া মদ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন মাদক কারবারি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। সোমবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।

জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কোটচাঁদপুর ঋষি পাড়ায় অভিযান চালায় ঝিনাইদহ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুর রশিদ নামের দুই কর্মকর্তা। ওইদিন ঋষি পাড়ার প্রতিমা রানীর বাড়ি থেকে কোন মাদক উদ্ধার না হলেও মাদক মামলা দেয়া হয়, এমন অভিযোগ করেন ওই নারী।

সে সময় প্রতিমা রাণী অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস আমি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরও তারা আমাকে বাসায় না পেয়ে আমার মেয়ের নামে মিথ্যা মামলা দেন।

এ ছাড়া সম্প্রতি আবারও অভিযান চালায় এ পাড়ায়। ওইদিন আমার ঘরে কোন কিছু পাননি। এরপরও তারা ৩ শ গ্রাম গাঁজা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন আমার নামে। বিষয়টি নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদারের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঋষি পাড়া থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেওয়ারও অভিযোগ করেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঋষি পাড়ায় ফের অভিযান চালায় খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাব ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন। ওই সময় আটক করেন স্বপ্ন নামের এক নারী মাদক কারবারিকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করেন তিন লিটার চুলাই মদ এমন দাবি ওই কর্মকর্তার। তবে তা অস্বীকার করেছেন স্বপ্না রানী।

স্বপ্না রাণী বলেন, উনারা পাশের বাড়ি থেকে বাংলা মদ উদ্ধার করে আমাকে চুলাই মদ বলে মামলা দিয়েছেন। বাংলা মদ কোথায় পেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের পাড়ায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই মদ বিক্রি হচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাব ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন বলেন, আমরা চোলাই মদ সহ স্বপ্না রানী (৩০) নামের একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছিলাম চুলাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জামাদি। ভেঙে দেয়া হয় মদ তৈরীর চুলা।

তিনি বলেন, ওনাকে ধরার পর ওনি বিভিন্ন ধরনের অফার করেছিল আমাকে। আমি তাঁর কোন কথা না শোনায় এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এর আগেও স্বপ্নার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। ওনি যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক না। এর আগে কে কি করেছেন আমি জানিনা না। তবে আমি আমার সাধ্যমত শতভাগ সঠিক কাজ করার চেষ্টা করবো।

তিনি আরো বলেন, আমরা ওনাকে ধরার পর, পাশের মাঠ থেকে চুলাই মদ উদ্ধার করেছি। যা আপনারা একটু খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক বিক্রির অভিযোগে স্বপ্না নামের একজনকে থানায় দিয়ে গেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে মাদক কারবারি স্বপ্না রানীকে আদালতে পাঠিয়েছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।

সবুজদেশ/এসএএস

আবারও কোটচাঁদপুরে মাদক উদ্ধার নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!

Update Time : ০৭:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ঋষি পাড়ায় এবার মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়েছেন খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রশ্ন উঠেছে এ অভিযান নিয়েও । উদ্ধার হওয়া মদ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন মাদক কারবারি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। সোমবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।

জানা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কোটচাঁদপুর ঋষি পাড়ায় অভিযান চালায় ঝিনাইদহ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুর রশিদ নামের দুই কর্মকর্তা। ওইদিন ঋষি পাড়ার প্রতিমা রানীর বাড়ি থেকে কোন মাদক উদ্ধার না হলেও মাদক মামলা দেয়া হয়, এমন অভিযোগ করেন ওই নারী।

সে সময় প্রতিমা রাণী অভিযোগ করেন, গত কয়েক মাস আমি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরও তারা আমাকে বাসায় না পেয়ে আমার মেয়ের নামে মিথ্যা মামলা দেন।

এ ছাড়া সম্প্রতি আবারও অভিযান চালায় এ পাড়ায়। ওইদিন আমার ঘরে কোন কিছু পাননি। এরপরও তারা ৩ শ গ্রাম গাঁজা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন আমার নামে। বিষয়টি নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদারের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঋষি পাড়া থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেওয়ারও অভিযোগ করেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঋষি পাড়ায় ফের অভিযান চালায় খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাব ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন। ওই সময় আটক করেন স্বপ্ন নামের এক নারী মাদক কারবারিকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করেন তিন লিটার চুলাই মদ এমন দাবি ওই কর্মকর্তার। তবে তা অস্বীকার করেছেন স্বপ্না রানী।

স্বপ্না রাণী বলেন, উনারা পাশের বাড়ি থেকে বাংলা মদ উদ্ধার করে আমাকে চুলাই মদ বলে মামলা দিয়েছেন। বাংলা মদ কোথায় পেয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের পাড়ায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই মদ বিক্রি হচ্ছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাব ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন বলেন, আমরা চোলাই মদ সহ স্বপ্না রানী (৩০) নামের একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছিলাম চুলাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জামাদি। ভেঙে দেয়া হয় মদ তৈরীর চুলা।

তিনি বলেন, ওনাকে ধরার পর ওনি বিভিন্ন ধরনের অফার করেছিল আমাকে। আমি তাঁর কোন কথা না শোনায় এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এর আগেও স্বপ্নার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। ওনি যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক না। এর আগে কে কি করেছেন আমি জানিনা না। তবে আমি আমার সাধ্যমত শতভাগ সঠিক কাজ করার চেষ্টা করবো।

তিনি আরো বলেন, আমরা ওনাকে ধরার পর, পাশের মাঠ থেকে চুলাই মদ উদ্ধার করেছি। যা আপনারা একটু খোঁজ নিলে জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক বিক্রির অভিযোগে স্বপ্না নামের একজনকে থানায় দিয়ে গেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার সকালে মাদক কারবারি স্বপ্না রানীকে আদালতে পাঠিয়েছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।

সবুজদেশ/এসএএস