ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা

Reporter Name

ঢাকাঃ

বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় আবারও নাম লেখাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্টের সিস্টার কোম্পানি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরের ওপর জরিপ চালিয়েছে সংস্থাটি। তালিকায় ১৪০টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

বসবাসের যোগ্য শহরগুলোর তালিকায় ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থার ১৩৭। অর্থাৎ ঢাকা মোটেও বসবাসের যোগ্য শহর নয়। এর আগেও শহরটি বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় জায়গা নিয়েছে।

২০২১ সালের সর্বশেষ এই জরিপে বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। দ্বিতীয় ওসাকা, তৃতীয় অ্যাডিলেড, চতুর্থ টোকিও এবং পঞ্চম ওয়েলিংটন, ৬ষ্ঠ পার্থ, সপ্তম জুরিখ, অষ্টম জেনেভা, নবম মেলবোর্ন ও দশম স্থানে রয়েছে ব্রিসবেন।

অর্থাৎ বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুটি, জাপানের দুটি, অস্ট্রেলিয়ার চারটি এবং সুইজাল্যান্ডের দুটি শহর রয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় এবার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ২০১৮ সাল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এই তালিকায় শীর্ষে ছিল। কিন্তু এবার শীর্ষ দশ শহরের মধ্যে স্থানই পায়নি ভিয়েনা। ২০১৯ সালে ভিয়েনার সঙ্গে একই পয়েন্টে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন।

এদিকে, এর আগের বছর বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৮তম। সে হিসেবে এবার ঢাকার অবস্থার একধাপ এগিয়েছে বলা যায়। তবে এই তালিকাও সন্তোষজনক নয় বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইআইইউ-এর জরিপ অনুযায়ী বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছে সিরিয়ার দামেস্ক শহর। এই শহরের অবস্থান ১৪০তম। অর্থাৎ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত শহরটি একেবারেই বসবাসের অযোগ্য।

অপরদিকে বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। শহরটির অবস্থান ১৩৪। এছাড়া ১৩৫তম অবস্থানে লিবিয়ার ত্রিপোলি, ১৩৬তম আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ১৩৮তম পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবি এবং ১৩৯তম অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস।

উল্লেখ্য বিশ্বের ১৪০টি দেশের সংস্কৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, শিক্ষা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের মানের ওপর ভিত্তি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বৈশ্বিক বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
১৯৫ Time View

আবারও বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

ঢাকাঃ

বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় আবারও নাম লেখাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্টের সিস্টার কোম্পানি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরের ওপর জরিপ চালিয়েছে সংস্থাটি। তালিকায় ১৪০টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

বসবাসের যোগ্য শহরগুলোর তালিকায় ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থার ১৩৭। অর্থাৎ ঢাকা মোটেও বসবাসের যোগ্য শহর নয়। এর আগেও শহরটি বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় জায়গা নিয়েছে।

২০২১ সালের সর্বশেষ এই জরিপে বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। দ্বিতীয় ওসাকা, তৃতীয় অ্যাডিলেড, চতুর্থ টোকিও এবং পঞ্চম ওয়েলিংটন, ৬ষ্ঠ পার্থ, সপ্তম জুরিখ, অষ্টম জেনেভা, নবম মেলবোর্ন ও দশম স্থানে রয়েছে ব্রিসবেন।

অর্থাৎ বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের দুটি, জাপানের দুটি, অস্ট্রেলিয়ার চারটি এবং সুইজাল্যান্ডের দুটি শহর রয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় এবার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ২০১৮ সাল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এই তালিকায় শীর্ষে ছিল। কিন্তু এবার শীর্ষ দশ শহরের মধ্যে স্থানই পায়নি ভিয়েনা। ২০১৯ সালে ভিয়েনার সঙ্গে একই পয়েন্টে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন।

এদিকে, এর আগের বছর বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৮তম। সে হিসেবে এবার ঢাকার অবস্থার একধাপ এগিয়েছে বলা যায়। তবে এই তালিকাও সন্তোষজনক নয় বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইআইইউ-এর জরিপ অনুযায়ী বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছে সিরিয়ার দামেস্ক শহর। এই শহরের অবস্থান ১৪০তম। অর্থাৎ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত শহরটি একেবারেই বসবাসের অযোগ্য।

অপরদিকে বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। শহরটির অবস্থান ১৩৪। এছাড়া ১৩৫তম অবস্থানে লিবিয়ার ত্রিপোলি, ১৩৬তম আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ১৩৮তম পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবি এবং ১৩৯তম অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস।

উল্লেখ্য বিশ্বের ১৪০টি দেশের সংস্কৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, শিক্ষা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনের মানের ওপর ভিত্তি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বৈশ্বিক বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।