বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিট’- এ তিনি বলেন, “ফাইভ জি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকেই থাকবে।”
বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে টুজি প্রযুক্তির মোবাইল ফোন সেবা চালুর পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই ২০১৩ সালে আসে থ্রিজি। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় ফোরজি সেবা।
সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা ফাইভ জি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও ক্ষমতায় আনে তবে আমরা বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু করব।”
সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল অপারেটর রবির সহায়তায় এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করে হুয়াওয়ে। সজীব ওয়াজেদ জয় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
গত সাড়ে নয় বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ‘দ্রুত অগ্রগতির’ কথা তুলে ধরে জয় বলেন, “১০ বছর আগেও বাংলাদেশ ছিল প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া দেশ। টু জি ইন্টারনেট সেবা ছিল। সেটাও ছিল শহরের মধ্যে এবং দাম ছিল বেশি।
“আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন আমরা কোথায় আছি দেখুন! গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য ৯৯ শতাংশ কমাতে আমি রেগুলেটরদের ওপর চাপ দিয়েছি। এখন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য সবচেয়ে কম।”
রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার বাংলাদেশ ৫জি সামিটে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
রাজধানীতে বুধবার বাংলাদেশ ৫জি সামিটে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
থ্রি জি থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফোর জি সেবায় আসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশ এত দ্রুত পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট চালু করতে পারেনি।জয় মঙ্গলবার ফেইসবুক পেইজে লেখেন, “এই মুহূর্তে আমি ট্রাফিকে আটকে আছি। কিন্তু ঢাকাতে বসেই ঠিক আমেরিকার মতোই ৪জি ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছি। আমরা কয়েক মাস আগে ৪জি সেবা চালু করলেও ইতোমধ্যে কাভারেজ বেশ ভালো বলে মনে হচ্ছে।
“এর জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আরেকটি মাইলফলক অর্জন।”
বুধবারের অনুষ্ঠানেও সে কথার পুনরাবৃত্তি করেন জয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক (প্রকৌশল ও অপারেশন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের তিনটি ফোর জি অপারেটরের সেবা পার্বত্য চট্টগ্রাম বাদে প্রায় সারা দেশে পৌঁছে গেছে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের মানুষের হাতে ১৫ কোটির বেশি মোবাইল সিম ছিল।
আর দেশের আট কোটি ৭৭ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহকের মধ্যে আট কোটি ২০ লাখ গ্রাহকই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, হুয়াওয়ের সাউথ-ইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ।