ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিরের পছন্দ বাংলাদেশের ‘ডাল-ভাত’

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের খাবারের মধ্যে গরুর কাচ্চি বিরিয়ানি তার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। এছাড়া অন্যান্য বিরিয়ানিও অনেক খেয়ে থাকেন।

আজ (সোমবার) জানা গেল পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরের বাংলাদেশি পছন্দের খাবারের বিষয়ে। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর নতুন আয়োজন ‘ক্রাঞ্চ টাইম’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন আমির।

২৮ বছর বয়সী এ পেসার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এলে, এখানের নিরামিষ খাবারই বেশি খেয়ে থাকেন। এগুলোর মধ্যে সাদা ভাত ও ডাল মাখনি বেশি পছন্দ আমিরের।

বিভিন্ন লিগ টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে পছন্দের খাবার কোনটি?- এমন প্রশ্নের জবাবে আমির বলেন, ‘আমি দুবাই গেলে টার্কিশ ও লেবানিজ খাবার খেতে ভালোবাসি। এতে কোনো চর্বি নেই। যার ফলে আমি প্রোটিন ও শর্করা পেতে পারি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিপিএলের মতো জায়গায় গেলে আমি সাদা ভাত ও ডাল মাখনি খাই। বাংলাদেশের এ খাবার আমার পছন্দের। এছাড়া নিরামিষ খাবার বেশি খাই বাংলাদেশ। পাকিস্তানে ফেরার পর আমি পাস্তা, ম্যাশড পটেটো, চিকেন স্টিক খেতে পারি। কারণ আমার স্ত্রী ভালো রাঁধুনি।’

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের খাবার খেলেও, সময়ের বিষয়ে কড়া নজর রাখেন আমির। একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এতে করে শরীরের ঘাটতি পূরণের যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায় বলে জানান আমির।

তার ভাষ্য, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি সকালের খাবার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সকালে আপনাকে কিছু খেতেই হবে। অন্যথায় সারাদিন এর জন্য ভুগতে হবে। আমি সবসময় রুটিন মেনে খাবার খাই। সকালে সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে, দুপুরে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এবং রাতে সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে খাবার খেয়ে থাকি।’

এভাবে রুটিন মেনে খাবার খাওয়ার পেছনে শক্ত কারণের কথা উল্লেখ করে আমির বলেন, ‘আমাকে সময় মতোই খাবার খেতে হবে। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি সারাদিন মাঠে, জিমে বা ট্রেনিংয়ে কাটিয়ে থাকেন। তাই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার রিকভারিটাও ঠিক সময়ে হয়।’

খাদ্যাভ্যাসের ব্যাওয়ারে সচেতন আমির, কিন্তু নিজে কিছুই রাঁধতে পারেন না। তবে তাদের দলের অফস্পিনার সাঈদ আজমল অন্যতম সেরা রাঁধুনি বলে জানালেন আমির, ‘আমি কিছুই বানাতে পারি না। এ বিষয়ে আমি খুবই অলস। এমনকি চা পর্যন্ত বানাতে পারি না। তবে আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় অনেক ভালো রাঁধতে পারে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে আছে, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়। সেখানে সাঈদ আজমল দারুণ রাঁধুনি ছিলেন। তিনি ডাল এবং আরও অনেক কিছু রান্না করেছিলেন। সেগুলো খুবই মজাদার ছিল। আমরা সেখানে হালাল খাবার খুঁজতে বেগ পাচ্ছিলাম। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে নিজেদের খাবার রান্না করে খাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
২৫৭ Time View

আমিরের পছন্দ বাংলাদেশের ‘ডাল-ভাত’

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের খাবারের মধ্যে গরুর কাচ্চি বিরিয়ানি তার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। এছাড়া অন্যান্য বিরিয়ানিও অনেক খেয়ে থাকেন।

আজ (সোমবার) জানা গেল পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরের বাংলাদেশি পছন্দের খাবারের বিষয়ে। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর নতুন আয়োজন ‘ক্রাঞ্চ টাইম’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন আমির।

২৮ বছর বয়সী এ পেসার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে এলে, এখানের নিরামিষ খাবারই বেশি খেয়ে থাকেন। এগুলোর মধ্যে সাদা ভাত ও ডাল মাখনি বেশি পছন্দ আমিরের।

বিভিন্ন লিগ টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে পছন্দের খাবার কোনটি?- এমন প্রশ্নের জবাবে আমির বলেন, ‘আমি দুবাই গেলে টার্কিশ ও লেবানিজ খাবার খেতে ভালোবাসি। এতে কোনো চর্বি নেই। যার ফলে আমি প্রোটিন ও শর্করা পেতে পারি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিপিএলের মতো জায়গায় গেলে আমি সাদা ভাত ও ডাল মাখনি খাই। বাংলাদেশের এ খাবার আমার পছন্দের। এছাড়া নিরামিষ খাবার বেশি খাই বাংলাদেশ। পাকিস্তানে ফেরার পর আমি পাস্তা, ম্যাশড পটেটো, চিকেন স্টিক খেতে পারি। কারণ আমার স্ত্রী ভালো রাঁধুনি।’

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের খাবার খেলেও, সময়ের বিষয়ে কড়া নজর রাখেন আমির। একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এতে করে শরীরের ঘাটতি পূরণের যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায় বলে জানান আমির।

তার ভাষ্য, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি সকালের খাবার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সকালে আপনাকে কিছু খেতেই হবে। অন্যথায় সারাদিন এর জন্য ভুগতে হবে। আমি সবসময় রুটিন মেনে খাবার খাই। সকালে সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে, দুপুরে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এবং রাতে সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে খাবার খেয়ে থাকি।’

এভাবে রুটিন মেনে খাবার খাওয়ার পেছনে শক্ত কারণের কথা উল্লেখ করে আমির বলেন, ‘আমাকে সময় মতোই খাবার খেতে হবে। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি সারাদিন মাঠে, জিমে বা ট্রেনিংয়ে কাটিয়ে থাকেন। তাই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার রিকভারিটাও ঠিক সময়ে হয়।’

খাদ্যাভ্যাসের ব্যাওয়ারে সচেতন আমির, কিন্তু নিজে কিছুই রাঁধতে পারেন না। তবে তাদের দলের অফস্পিনার সাঈদ আজমল অন্যতম সেরা রাঁধুনি বলে জানালেন আমির, ‘আমি কিছুই বানাতে পারি না। এ বিষয়ে আমি খুবই অলস। এমনকি চা পর্যন্ত বানাতে পারি না। তবে আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় অনেক ভালো রাঁধতে পারে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে আছে, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়। সেখানে সাঈদ আজমল দারুণ রাঁধুনি ছিলেন। তিনি ডাল এবং আরও অনেক কিছু রান্না করেছিলেন। সেগুলো খুবই মজাদার ছিল। আমরা সেখানে হালাল খাবার খুঁজতে বেগ পাচ্ছিলাম। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে নিজেদের খাবার রান্না করে খাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল।’