সবুজদেশ ডেস্কঃ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে আরও ছয় জেলার কার্যক্রমের ওপর ছয়মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় পাঠানো নিয়োগপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।

ওইসব জেলার কয়েকজন নিয়োগপ্রার্থীর করা পৃথক রিট আবেদনের শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, জামিউল হক ফয়সাল ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ছয়জেলা হলো- নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ। যদিও এর আগে হাইকোর্টে নাটোর, পটুয়াখালী, ফরিদপুরের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছিল।

পরে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বলেন, এরই মধ্যে ফরিদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেয়া শুরু হয়েছে। ওই নিয়োগপত্র দেয়ারও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত এই নিয়োপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে ৬০ শতাংশ মহিলা, ২০ শতাংশ পৌষ্য এবং বাকি ২০ শতাংশ সাধারণ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। ওই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ প্রার্থীকে নির্বাচন করে। এর আগে নিয়োগপ্রার্থীদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে অনেক জেলার প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষার ফল স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইদিন নওগাঁ ও ভোলা জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ জানুয়ারি পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও সিরাজগঞ্জসহ ১৪ জেলাতে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এরপর ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও ২৭ জানুয়ারি ঢাকা, গাজীপুর ও পিরোজপুর জেলার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এরপর ২৮ জানুয়ারি নীলফামারী, লালমনিরহাট ও নাটোরের পর ফরিদপুর জেলার শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here