ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্জেন্টিনাকে জেতাতে পারলেন না দিবালা-মার্টিনেজরা

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রতিভা আছে, সামর্থ্য আছে। তারপরও পাওলো দিবালা আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না লিওনেল মেসির কারণে। দিবালা ঠিক মেসির পজিশনেই খেলেন। মেসি থাকতে সেই পজিশনে দিবালার সুযোগ না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

আজ মেসির অনুপস্থিতিতে দিবালার সুযোগ ছিল নিজেকে মেলে ধরার। শুধু মেসির জায়গা নেওয়া নয়, মেসির মতো দিবালাকে ভরসাও বানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ। কিন্তু দিবালা মেসি হয়ে উঠতে পারলেন না। দলকে এনে দিতে পারলেন না জয়।

দিবালা মেসি হতে পারেননি। আর্জেন্টিনাও জিততে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের মেমোরিয়াল কলিজিয়াম স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-চিলির প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।

আর্জেন্টিনা নিজেদের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা খেলেছিল এই চিলির বিপক্ষেই। গত ৬ জুলাই ব্রাজিলে, কোপা আমেরিকার তৃতীয়-চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। সেই ম্যাচটিতে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে সেই ম্যাচে পাওয়া লালকার্ডের প্রতিক্রিয়ার জেরেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মেসি।

অন্যায়ভাবে লালকার্ড দেওয়ায় মেসি সেদিন প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের ব্রোঞ্জ পদকটি নিতে অস্বীকৃতি জানান। শুধু তাই নয়, পরে মুখ খুলে কনমেবলের খুল্লামখুল্লা সমালোচনা করায় নেমে আসে নিষেধাজ্ঞা। যে কারণে আজকের ম্যাচটি খেলতে পারেননি মেসি।

মেসির পাশাপাশি অভিজ্ঞ সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ারাও নেই। এদের অনুপস্থিতিতে তরুণ দিবালাকেই আক্রমণভাগের ‘নেতা’ বানিয়ে দেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু জুভেন্টাস তারকা ভরসার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ। ব্যর্থ কোপা আমেরিকায় বিশেষ নজর কাড়া লাওতারো মার্টিনেজও।

গোল না পেলেও ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনাই। আক্রমণ এবং গোলের সুযোগও পেয়েছে বেশি। কিন্তু একটা সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি দিবালা, মার্টিনেজ, জিওভান্নি লো সেলসোরা। ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার আগে শেষ সুযোগটিও ছিল আর্জেন্টিনারই।

প্রথম সুযোগটি মিস করেন দিবালা। তার শট চলে যায় গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। শেষ সুযোগটি হাতছাড়া করেছেন মিডফিল্ডার লুকাস মার্টিনেজ। মাঝে দিবালা, লাওতারো মার্টিনেজ, লো সেলসোরা অনেকবারই হতাশ করেছেন দলকে।

জয় না পাওয়ার আক্ষেপে হয়তো পুড়ছে চিলিও। গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছে তারাও। বরং ৬০ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিল চিলিই। দুর্ভাগ্য তাদের, পিনারেসের হেডটি প্রতিহত হয় আর্জেন্টিনার ক্রস বারে।

এই ড্র হতাশা ভুলে দ্রুতই আবার নতুন ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে আর্জেন্টিনা-চিলিকে। মঙ্গলবারই যে আবার মাঠে নামতে হবে তাদের। সেদিন স্যান আন্তোনিওত আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে মেক্সিকোর। স্যান পেদ্রো সুলায় চিলির প্রতিপক্ষ হন্ডুরাস।

About Author Information
আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩১৯ Time View

আর্জেন্টিনাকে জেতাতে পারলেন না দিবালা-মার্টিনেজরা

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রতিভা আছে, সামর্থ্য আছে। তারপরও পাওলো দিবালা আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না লিওনেল মেসির কারণে। দিবালা ঠিক মেসির পজিশনেই খেলেন। মেসি থাকতে সেই পজিশনে দিবালার সুযোগ না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

আজ মেসির অনুপস্থিতিতে দিবালার সুযোগ ছিল নিজেকে মেলে ধরার। শুধু মেসির জায়গা নেওয়া নয়, মেসির মতো দিবালাকে ভরসাও বানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ। কিন্তু দিবালা মেসি হয়ে উঠতে পারলেন না। দলকে এনে দিতে পারলেন না জয়।

দিবালা মেসি হতে পারেননি। আর্জেন্টিনাও জিততে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের মেমোরিয়াল কলিজিয়াম স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-চিলির প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।

আর্জেন্টিনা নিজেদের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা খেলেছিল এই চিলির বিপক্ষেই। গত ৬ জুলাই ব্রাজিলে, কোপা আমেরিকার তৃতীয়-চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। সেই ম্যাচটিতে চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে সেই ম্যাচে পাওয়া লালকার্ডের প্রতিক্রিয়ার জেরেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মেসি।

অন্যায়ভাবে লালকার্ড দেওয়ায় মেসি সেদিন প্রতিবাদ স্বরূপ নিজের ব্রোঞ্জ পদকটি নিতে অস্বীকৃতি জানান। শুধু তাই নয়, পরে মুখ খুলে কনমেবলের খুল্লামখুল্লা সমালোচনা করায় নেমে আসে নিষেধাজ্ঞা। যে কারণে আজকের ম্যাচটি খেলতে পারেননি মেসি।

মেসির পাশাপাশি অভিজ্ঞ সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ারাও নেই। এদের অনুপস্থিতিতে তরুণ দিবালাকেই আক্রমণভাগের ‘নেতা’ বানিয়ে দেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু জুভেন্টাস তারকা ভরসার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ। ব্যর্থ কোপা আমেরিকায় বিশেষ নজর কাড়া লাওতারো মার্টিনেজও।

গোল না পেলেও ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনাই। আক্রমণ এবং গোলের সুযোগও পেয়েছে বেশি। কিন্তু একটা সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি দিবালা, মার্টিনেজ, জিওভান্নি লো সেলসোরা। ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার আগে শেষ সুযোগটিও ছিল আর্জেন্টিনারই।

প্রথম সুযোগটি মিস করেন দিবালা। তার শট চলে যায় গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। শেষ সুযোগটি হাতছাড়া করেছেন মিডফিল্ডার লুকাস মার্টিনেজ। মাঝে দিবালা, লাওতারো মার্টিনেজ, লো সেলসোরা অনেকবারই হতাশ করেছেন দলকে।

জয় না পাওয়ার আক্ষেপে হয়তো পুড়ছে চিলিও। গোল করার একাধিক সুযোগ পেয়েছে তারাও। বরং ৬০ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিল চিলিই। দুর্ভাগ্য তাদের, পিনারেসের হেডটি প্রতিহত হয় আর্জেন্টিনার ক্রস বারে।

এই ড্র হতাশা ভুলে দ্রুতই আবার নতুন ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে আর্জেন্টিনা-চিলিকে। মঙ্গলবারই যে আবার মাঠে নামতে হবে তাদের। সেদিন স্যান আন্তোনিওত আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে মেক্সিকোর। স্যান পেদ্রো সুলায় চিলির প্রতিপক্ষ হন্ডুরাস।