ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্টিকেল চৌর্য্যবৃত্তির অভিযুক্ত খুবির শিক্ষক পেলেন আপগ্রেডেশন

Reporter Name

খুলনা প্রতিনিধিঃ

গবেষণা আর্টিকেল চৌর্য্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আপগ্রেডেশন পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন প্রফেসর। চৌর্য্যবৃত্তির অভিযোগের তদন্তে গঠিত কমিটি তদন্তকালে সন্দেহাতিতভাবে ওই প্রফেসরের বিরুদ্ধে অন্যের লেখা থেকে কপি করার সত্যতা পান। কপি করেও আপগ্রেডেশন পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন অনেকেই।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর আপগ্রেডেশনের আবেদন করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাজাহান কবীর। তৎকালীন ডিসিপ্লিন প্রধান ড. সাবিহা হক পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি উল্লেখ করেন, ড. শাহাজাহান কবীর গবেষণা আর্টিকেলের ৪টি প্যারা ভিন্ন উৎস থেকে নেয়া হয়েছে যা চৌর্য্যবৃত্তি বলে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুবির গবেষণা সেলের পরিচালক প্রফেসর এ কে ফজলুল হককে সভাপতি ও অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এসএম রফিজুল হককে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্তকালে এই কমিটির কাছে ড. কবীর চৌর্য্যবৃত্তি করেননি বলে নিজের স্বপক্ষে কিছু তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।

তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, চারটি প্যারার মধ্যে দুটি প্যারা আগেই (২০০৪ সালের আগস্ট মাসে) অন্য ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আর ড. কবীরের আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. কবীরের প্রকাশিত Strateies for Developing Reading Skills with Special Referenc to ESL/EFL. Teaching, Language Forum, Volume 37, No.2 July-December 2011 ক্ষেত্রে Plagiarism অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণি হয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ মার্চ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহাজাহান কবীরকে প্রফেসর হিসেবে আপগ্রেডেশন দেয়।

অপরপক্ষে, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সারোয়ার জাহান, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সামিউল হক একইসাথে একই যোগ্যতায় আবেদন করলেও প্রশাসন আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সামিউল হককে আপগ্রেডেশান প্রদান করে কিন্তু ইংরেজি বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক সারোয়ার জাহানকে আপগ্রেডেশন দেয়নি।

এ ব্যাপারে ফার্মেসি বিভাগের প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, চৌর্য্যবৃত্তির কোনো ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তা অনৈতিক। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রফেসর ড. শাহাজাহান কবীর বলেন, ওই বিষয়টি মিটে গেছে। আমি প্রমোশনও পেয়েছি দুই বছর আগে। তিনি দাবি করে বলেন, আমি কারো কিছু চুরি করে প্রকাশ করিনি। যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিকও নয়। আমি তদন্ত কমিটির কাছে সবকিছু উপস্থাপন করেছি।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৩৯৬ Time View

আর্টিকেল চৌর্য্যবৃত্তির অভিযুক্ত খুবির শিক্ষক পেলেন আপগ্রেডেশন

আপডেট সময় : ০৯:৪২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খুলনা প্রতিনিধিঃ

গবেষণা আর্টিকেল চৌর্য্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আপগ্রেডেশন পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন প্রফেসর। চৌর্য্যবৃত্তির অভিযোগের তদন্তে গঠিত কমিটি তদন্তকালে সন্দেহাতিতভাবে ওই প্রফেসরের বিরুদ্ধে অন্যের লেখা থেকে কপি করার সত্যতা পান। কপি করেও আপগ্রেডেশন পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন অনেকেই।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর আপগ্রেডেশনের আবেদন করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাজাহান কবীর। তৎকালীন ডিসিপ্লিন প্রধান ড. সাবিহা হক পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি উল্লেখ করেন, ড. শাহাজাহান কবীর গবেষণা আর্টিকেলের ৪টি প্যারা ভিন্ন উৎস থেকে নেয়া হয়েছে যা চৌর্য্যবৃত্তি বলে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুবির গবেষণা সেলের পরিচালক প্রফেসর এ কে ফজলুল হককে সভাপতি ও অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার দত্ত ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এসএম রফিজুল হককে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্তকালে এই কমিটির কাছে ড. কবীর চৌর্য্যবৃত্তি করেননি বলে নিজের স্বপক্ষে কিছু তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।

তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, চারটি প্যারার মধ্যে দুটি প্যারা আগেই (২০০৪ সালের আগস্ট মাসে) অন্য ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আর ড. কবীরের আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে ২০১১ সালে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. কবীরের প্রকাশিত Strateies for Developing Reading Skills with Special Referenc to ESL/EFL. Teaching, Language Forum, Volume 37, No.2 July-December 2011 ক্ষেত্রে Plagiarism অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণি হয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ মার্চ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহাজাহান কবীরকে প্রফেসর হিসেবে আপগ্রেডেশন দেয়।

অপরপক্ষে, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সারোয়ার জাহান, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সামিউল হক একইসাথে একই যোগ্যতায় আবেদন করলেও প্রশাসন আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সামিউল হককে আপগ্রেডেশান প্রদান করে কিন্তু ইংরেজি বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক সারোয়ার জাহানকে আপগ্রেডেশন দেয়নি।

এ ব্যাপারে ফার্মেসি বিভাগের প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, চৌর্য্যবৃত্তির কোনো ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তা অনৈতিক। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রফেসর ড. শাহাজাহান কবীর বলেন, ওই বিষয়টি মিটে গেছে। আমি প্রমোশনও পেয়েছি দুই বছর আগে। তিনি দাবি করে বলেন, আমি কারো কিছু চুরি করে প্রকাশ করিনি। যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিকও নয়। আমি তদন্ত কমিটির কাছে সবকিছু উপস্থাপন করেছি।