ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশা জাগিয়ে সপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

Reporter Name

শ্রেয়াস আয়ার ও অশ্বিনের জুটিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় ভারত। ছবি: ইএসপিএন

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আবারও সেই পুরোনো গল্প, ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে এসে আরও একবার হারতে হল বাংলাদেশকে। অথচ হারের মাত্র আধা ঘণ্টা আগেও ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল টাইগাররা। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটে আবারও সর্বনাশ! ঢাকা টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ৩ উইকেটে হারল বাংলাদেশ।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচটাই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বীরত্বপূর্ণ ইনিংসের পরেও সে ম্যাচটা হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর গত ২১ বছরে ভারতীয়দের বিপক্ষে আরও ১২টি টেস্ট খেলে একবারও জয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি টাইগাররা। এবারই সুবর্ণ সুযোগ ছিল গেরো ভাঙার। কিন্তু সে সুযোগ দিল না অশ্বিন-আইয়ারের ৭১ রানের জুটি। বাংলাদেশের হাতের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল লোকেশ রাহুলের দল।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার চতুর্থ দিনের খেলায় ১০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ভারত, হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু এতো কম রানের লক্ষ্যেও ভারতকে বিরাট চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের আঘাত দিয়ে শুরু। জয়দেব উনাদকাটকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগারদের পঞ্চম উইকেট এনে দেন অধিনায়ক নিজেই।

এরপর কিছুক্ষণ চলল মিরাজ ঝড়। নিজের পরপর দুই ওভারে অক্ষর প্যাটেল ও ঋষভ পান্তকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার। তখনও ভারতের দরকার ছিল ৭১ রান। কিন্তু সেই রানকে কিছুই মনে হতে দিলেন না আইয়ার-অশ্বিন। যদিও একবার জীবন পেয়েছিলেন অশ্বিন। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন ডানহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। ৪২ রান করে তিনিই হলেন এই ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা টেস্ট জিতে গেল ভারত। তাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা ধরে রাখার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল সফরকারীরা।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মুমিনুল হকের একক দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে টাইগাররা সংগ্র করে ২২৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পান্তের ব্যাটে ৩১৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। 

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা হয় হতাশাজনক। কিন্তু শেষদিকে লিটন দাসের প্রতিরোধে ২৩১ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ভারতের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৫ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২২৭/১০
ভারত ১ম ইনিংস: ৩১৪/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৩১/১০
ভারত ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৪৫) ৪৭ ওভারে ১৪৫/৭ (অক্ষর ৩৪, উনাদকাট ১৩, ঋষভ ৯, শ্রেয়াস ২৯*, অশ্বিন ৪২*; সাকিব ১৪-০-৫০-২, তাইজুল ১১-৪-১৪-০, মিরাজ ১৯-৪-৬৩-৫, তাসকিন ১-০-৪-০, খালেদ ২-০-১২-০)
ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী। 
ম্যাচসেরা: রবীচন্দ্রন অশ্বিন
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত ২-০ তে জয়ী।
সিরিজসেরা: চেতেশ্বর পূজারা

About Author Information
আপডেট সময় : ১২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
১১০ Time View

আশা জাগিয়ে সপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ১২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আবারও সেই পুরোনো গল্প, ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে এসে আরও একবার হারতে হল বাংলাদেশকে। অথচ হারের মাত্র আধা ঘণ্টা আগেও ভারতের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল টাইগাররা। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটে আবারও সর্বনাশ! ঢাকা টেস্টে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ৩ উইকেটে হারল বাংলাদেশ।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচটাই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বীরত্বপূর্ণ ইনিংসের পরেও সে ম্যাচটা হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর গত ২১ বছরে ভারতীয়দের বিপক্ষে আরও ১২টি টেস্ট খেলে একবারও জয়ের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি টাইগাররা। এবারই সুবর্ণ সুযোগ ছিল গেরো ভাঙার। কিন্তু সে সুযোগ দিল না অশ্বিন-আইয়ারের ৭১ রানের জুটি। বাংলাদেশের হাতের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল লোকেশ রাহুলের দল।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার চতুর্থ দিনের খেলায় ১০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ভারত, হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু এতো কম রানের লক্ষ্যেও ভারতকে বিরাট চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের আঘাত দিয়ে শুরু। জয়দেব উনাদকাটকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগারদের পঞ্চম উইকেট এনে দেন অধিনায়ক নিজেই।

এরপর কিছুক্ষণ চলল মিরাজ ঝড়। নিজের পরপর দুই ওভারে অক্ষর প্যাটেল ও ঋষভ পান্তকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার। তখনও ভারতের দরকার ছিল ৭১ রান। কিন্তু সেই রানকে কিছুই মনে হতে দিলেন না আইয়ার-অশ্বিন। যদিও একবার জীবন পেয়েছিলেন অশ্বিন। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন ডানহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। ৪২ রান করে তিনিই হলেন এই ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা টেস্ট জিতে গেল ভারত। তাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা ধরে রাখার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল সফরকারীরা।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মুমিনুল হকের একক দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে টাইগাররা সংগ্র করে ২২৭ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পান্তের ব্যাটে ৩১৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। 

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা হয় হতাশাজনক। কিন্তু শেষদিকে লিটন দাসের প্রতিরোধে ২৩১ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ভারতের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৫ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২২৭/১০
ভারত ১ম ইনিংস: ৩১৪/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৩১/১০
ভারত ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৪৫) ৪৭ ওভারে ১৪৫/৭ (অক্ষর ৩৪, উনাদকাট ১৩, ঋষভ ৯, শ্রেয়াস ২৯*, অশ্বিন ৪২*; সাকিব ১৪-০-৫০-২, তাইজুল ১১-৪-১৪-০, মিরাজ ১৯-৪-৬৩-৫, তাসকিন ১-০-৪-০, খালেদ ২-০-১২-০)
ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী। 
ম্যাচসেরা: রবীচন্দ্রন অশ্বিন
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত ২-০ তে জয়ী।
সিরিজসেরা: চেতেশ্বর পূজারা