ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসামি ভিডিওতে দেখাচ্ছেন তিনি বাড়িতে, খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০১:২২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ৫৮৬ বার পড়া হয়েছে।

 

দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা। ভিডিও কলে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাচ্ছেন তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন। অথচ পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। পুলিশ বলছে, তিনি পলাতক রয়েছেন। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে ঝিনাইদহের গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাচ্ছেন তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন অথচ পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। মিঠু মালিথার বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট কালীগঞ্জে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে সে পলাতক রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা। এই খবর পেয়ে সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় জনতা। পরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে পালাতে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি কোথাও পালায় নি। আমি কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতেই আছি। ভিডিও কলে তিনি বাড়িতে থাকার প্রমাণ দেন এবং ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল বলেন, তিনিসহ প্রায় ১০/১৫ জন সাংবাদিক ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাড়িতে থাকার কথা জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের ভিডিও কলে বাড়িতে থাকার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। ২টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাড়িতে থাকার ভিডিও দেখালেও পুলিশ কেন তাকে আটক করছে না। অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

একটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, আনিচুর রহমান মিঠু মালিথার নামে কালীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা আছে। এরমধ্যে আমি একটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সে ৫ তারিখের পর থেকেই পলাতক। সে বাড়িতে এলে খোঁজ পাই। কিন্তু প্রায় ২ মাস সে বাড়িতে আসে না। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, মিঠু মালিথা যে বাড়িতে আছে এটা তো মিথ্যাও হতে পারে। তারপরও আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানাবো।

সবুজদেশ/এসএএস

আসামি ভিডিওতে দেখাচ্ছেন তিনি বাড়িতে, খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

Update Time : ০১:২২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা। ভিডিও কলে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাচ্ছেন তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন। অথচ পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। পুলিশ বলছে, তিনি পলাতক রয়েছেন। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে ঝিনাইদহের গণমাধ্যমকর্মীদের দেখাচ্ছেন তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন অথচ পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। মিঠু মালিথার বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট কালীগঞ্জে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে সে পলাতক রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য হাফিজুলের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা। এই খবর পেয়ে সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে স্থানীয় জনতা। পরে বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান জিয়ার লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে পালাতে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনিচুর রহমান মিঠু মালিথা সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি কোথাও পালায় নি। আমি কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতেই আছি। ভিডিও কলে তিনি বাড়িতে থাকার প্রমাণ দেন এবং ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল বলেন, তিনিসহ প্রায় ১০/১৫ জন সাংবাদিক ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাড়িতে থাকার কথা জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের ভিডিও কলে বাড়িতে থাকার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। ২টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বাড়িতে থাকার ভিডিও দেখালেও পুলিশ কেন তাকে আটক করছে না। অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

একটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, আনিচুর রহমান মিঠু মালিথার নামে কালীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা আছে। এরমধ্যে আমি একটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সে ৫ তারিখের পর থেকেই পলাতক। সে বাড়িতে এলে খোঁজ পাই। কিন্তু প্রায় ২ মাস সে বাড়িতে আসে না। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, মিঠু মালিথা যে বাড়িতে আছে এটা তো মিথ্যাও হতে পারে। তারপরও আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানাবো।

সবুজদেশ/এসএএস