ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ কীভাবে কর্মসূচি দেয়?

ছবি সংগৃহীত-

 

ফেব্রুয়ারিতে হরতালসহ পাঁচটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের এ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, সরকার পতনের ছয় মাস যেতে না যেতেই আওয়ামী লীগ কীভাবে কর্মসূচি দেয়?

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে করা প্রদর্শনী পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ২৪-এর সবচেয়ে বড় হায়েনা যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এত মানুষকে হত্যার পরও শেখ হাসিনা কীভাবে কর্মসূচি দেয়?

এ সময় শেখ হাসিনা দেশে এলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলবেন বলেও মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর চিন্তাভাবনার দিক থেকেও একটা বড় জেনারেশন গ্যাপ দেখা যাচ্ছে। আমরা যেভাবে চাই, সেভাবে তথাকথিত রাজনীতিবিদরা ভাবছেন না। কে মানুষের জন্য ভালো বা কে দেশের জন্য ভালো, তারা এটা ভাবেন না। তারা ভাবেন, যাকে বসাচ্ছি সে আমার ম্যান কি না; যাকে বসাচ্ছি সে আমার স্বার্থ সার্ভ করবে কি না?

রাজনীতিবিদদের মানসিকতা নিয়ে তিনি বলেন, সো কোল্ড পলিটিশিয়ানরা এই জেনারশনকে তাদের জন্য থ্রেট মনে করছেন। কারণ, ইয়াং জেনারেশনের কালচারের সঙ্গে তারা খাপ খাওয়াতে পারছেন না, মানসিকতার সঙ্গে মিল রাখতে পারছেন না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, তরুণরা নেতৃত্ব না দিলে আগামী এক দশকেও দেশে স্বৈরশাসনের অবসান হতো না। তাই আমি মনে করি, তরুণ নেতৃত্বকে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে।

পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আর রাজপথে নামার দরকার নেই জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থানের ডিমান্ড অনুযায়ী আমরা রাজপথে নেমেছিলাম। এখন ইয়াং জেনারেশনের সামনে ডিমান্ড হচ্ছে সত্যকে সত্য বলা আর অন্যায়কে অন্যায় বলা।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information

আ.লীগ কীভাবে কর্মসূচি দেয়?

Update Time : ০৫:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

ফেব্রুয়ারিতে হরতালসহ পাঁচটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের এ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, সরকার পতনের ছয় মাস যেতে না যেতেই আওয়ামী লীগ কীভাবে কর্মসূচি দেয়?

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে করা প্রদর্শনী পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ২৪-এর সবচেয়ে বড় হায়েনা যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এত মানুষকে হত্যার পরও শেখ হাসিনা কীভাবে কর্মসূচি দেয়?

এ সময় শেখ হাসিনা দেশে এলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলবেন বলেও মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর চিন্তাভাবনার দিক থেকেও একটা বড় জেনারেশন গ্যাপ দেখা যাচ্ছে। আমরা যেভাবে চাই, সেভাবে তথাকথিত রাজনীতিবিদরা ভাবছেন না। কে মানুষের জন্য ভালো বা কে দেশের জন্য ভালো, তারা এটা ভাবেন না। তারা ভাবেন, যাকে বসাচ্ছি সে আমার ম্যান কি না; যাকে বসাচ্ছি সে আমার স্বার্থ সার্ভ করবে কি না?

রাজনীতিবিদদের মানসিকতা নিয়ে তিনি বলেন, সো কোল্ড পলিটিশিয়ানরা এই জেনারশনকে তাদের জন্য থ্রেট মনে করছেন। কারণ, ইয়াং জেনারেশনের কালচারের সঙ্গে তারা খাপ খাওয়াতে পারছেন না, মানসিকতার সঙ্গে মিল রাখতে পারছেন না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, তরুণরা নেতৃত্ব না দিলে আগামী এক দশকেও দেশে স্বৈরশাসনের অবসান হতো না। তাই আমি মনে করি, তরুণ নেতৃত্বকে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে।

পড়াশোনা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের আর রাজপথে নামার দরকার নেই জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থানের ডিমান্ড অনুযায়ী আমরা রাজপথে নেমেছিলাম। এখন ইয়াং জেনারেশনের সামনে ডিমান্ড হচ্ছে সত্যকে সত্য বলা আর অন্যায়কে অন্যায় বলা।

সবুজদেশ/এসইউ