ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ কী করেছে, একটু ভেবে দেখবেন: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকা ও বিরোধী দলগুলোর কার্যক্রম তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে জনগণকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে যে কখন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পেল। আর কখন দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির কবলে পড়ে নিজের জীবনমানকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল। এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা আগামী দিনে কী চান।

বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি মহাসড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, যারা বলেন আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি, ধ্বংসই করেছে- তাদেরকে আজকে আমি প্রশ্ন করি, যে ১০০টা মহাসড়কের নামের তালিকা আমরা বললাম। অধিকাংশ আমরা তৈরি করেছি এখন সেগুলো উন্নত করে দিলাম। নতুন সড়কও করে দিলাম। ১০০ সেতু একই দিনে উদ্বোধন, ১০০টি সড়ক একই দিনে উদ্বোধন। এটা অতীতে কেউ কখনো করতে পেরেছে? পারেনি। আওয়ামী লীগই পারে। এটাই প্রমাণিত সত্য।

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এরপরও যারা বলে যে, আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে, কিছুই নাকি করে নাই। তো দেশের মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে কিনা সেটাই আমার প্রশ্ন?
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকতে কী করেছে? আমি আশা করি দেশবাসী অন্তত সেটা একটু বিবেচনা করে দেখবেন। আমি জানি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, আমরা প্রাইভেট টেলিভিশন দিয়েছি, রেডিও দিয়েছি, অনলাইন সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন যোগাযোগ। কাজেই সত্য মিথ্যা অনেক কিছু বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ওই মানিলন্ডারিং, অগ্নি সন্ত্রাসকারী অথবা গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ মানুষ হত্যাকারী, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থেকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে অন্যের কাছে হাত পাতা, এই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন কেউ যেন এ দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার  স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রত্যেকে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করবে এবং সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেটা আমরা কিছু বাস্তবায়নও করছি।

দুর্ঘটনার পর চালককে মারধর না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন দুর্ঘটনা হলে যিনি দুর্ঘটনাকবলিত, অনেক সময় জনগণ তাকে সাহায্য না করে গাড়ি চালককে মারধর করার শুরু করে এবং গণপিটুনিতে গাড়ি চালক মারা যায়। এই কাজটা কেউ দয়া করে করবেন না। কেউ ইচ্ছা করে মানুষকে মারে না বা ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয় না। 

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যদি অপরাধ করে আপনারা ধরেন। থানায় দিয়ে দেন। পুলিশে দিয়ে দেন। তার বিচার হবে। আমরা সড়ক আইনও করে দিয়েছি এটা বিচারের জন্য।

কেউ রাস্তায় পড়ে গেলে গাড়িচালক গণপিটুনির ভয়ে গাড়ি না থামিয়ে তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে পারে; যদিও যিনি পড়ে গিয়েছেন আরেকবার তার উপর দিয়ে গাড়ি না গেলে হয়ত বেঁচেও যেতে পারতেন। এই ভীতিটা থেকে ড্রাইভারকে মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের দায়িত্ব।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
৮৩ Time View

আ.লীগ কী করেছে, একটু ভেবে দেখবেন: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকা ও বিরোধী দলগুলোর কার্যক্রম তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে জনগণকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে যে কখন বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পেল। আর কখন দেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির কবলে পড়ে নিজের জীবনমানকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল। এগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা আগামী দিনে কী চান।

বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি মহাসড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, যারা বলেন আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি, ধ্বংসই করেছে- তাদেরকে আজকে আমি প্রশ্ন করি, যে ১০০টা মহাসড়কের নামের তালিকা আমরা বললাম। অধিকাংশ আমরা তৈরি করেছি এখন সেগুলো উন্নত করে দিলাম। নতুন সড়কও করে দিলাম। ১০০ সেতু একই দিনে উদ্বোধন, ১০০টি সড়ক একই দিনে উদ্বোধন। এটা অতীতে কেউ কখনো করতে পেরেছে? পারেনি। আওয়ামী লীগই পারে। এটাই প্রমাণিত সত্য।

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, এরপরও যারা বলে যে, আওয়ামী লীগ সরকারে এসে দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে, কিছুই নাকি করে নাই। তো দেশের মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে কিনা সেটাই আমার প্রশ্ন?
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকতে কী করেছে? আমি আশা করি দেশবাসী অন্তত সেটা একটু বিবেচনা করে দেখবেন। আমি জানি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, আমরা প্রাইভেট টেলিভিশন দিয়েছি, রেডিও দিয়েছি, অনলাইন সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন যোগাযোগ। কাজেই সত্য মিথ্যা অনেক কিছু বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ওই মানিলন্ডারিং, অগ্নি সন্ত্রাসকারী অথবা গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ মানুষ হত্যাকারী, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা থেকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে অন্যের কাছে হাত পাতা, এই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন কেউ যেন এ দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার  স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রত্যেকে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করবে এবং সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেটা আমরা কিছু বাস্তবায়নও করছি।

দুর্ঘটনার পর চালককে মারধর না করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন দুর্ঘটনা হলে যিনি দুর্ঘটনাকবলিত, অনেক সময় জনগণ তাকে সাহায্য না করে গাড়ি চালককে মারধর করার শুরু করে এবং গণপিটুনিতে গাড়ি চালক মারা যায়। এই কাজটা কেউ দয়া করে করবেন না। কেউ ইচ্ছা করে মানুষকে মারে না বা ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয় না। 

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যদি অপরাধ করে আপনারা ধরেন। থানায় দিয়ে দেন। পুলিশে দিয়ে দেন। তার বিচার হবে। আমরা সড়ক আইনও করে দিয়েছি এটা বিচারের জন্য।

কেউ রাস্তায় পড়ে গেলে গাড়িচালক গণপিটুনির ভয়ে গাড়ি না থামিয়ে তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে পারে; যদিও যিনি পড়ে গিয়েছেন আরেকবার তার উপর দিয়ে গাড়ি না গেলে হয়ত বেঁচেও যেতে পারতেন। এই ভীতিটা থেকে ড্রাইভারকে মুক্ত করতে হবে। এটা জনগণের দায়িত্ব।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।