ঢাকা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন যুদ্ধের ‘রহস্যময়’ যত চিহ্ন

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক যানের উপস্থিতি নিয়মিত হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে নিয়মিত হয়ে উঠেছে রুশ সামরিক যানগুলোতে লেখা ইংরেজি শেষ অক্ষর ‘জেড’ চিহ্নও। 

 ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই যানবাহনগুলো কিয়েভ ও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরগুলোর আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব যানবাহনের প্রত্যেকটিতেই আঁকা রয়েছে পুরু সাদা রঙে একটি ‘জেড’ চিহ্ন। কেবল তাই নয়, ইউক্রেনে রুশ সমর্থনকারীদের টি-শার্টেও আঁকা রয়েছে এই ‘জেড’। 

এর রহস্য জানিয়ে দিয়েছেন রুশ থিংকট্যাংক গ্যালিনা স্টারভয়েটোভার ফেলো কামিল গালিভ। এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘জেড’ হলো এমন একটি বর্ণ যেটিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উদ্দেশে দেশত্যাগ করা যানবাহনের গায়ে লিখে দিচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই উদ্ভাবিত নতুন এই প্রতীকটি রাশিয়ার নতুন আদর্শ ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ 
শুধু সামরিক যান নয়, অনেক রুশ নাগরিক, ব্যবসায়ী এবং রাশিয়ার বাইরে থাকা রুশ সমর্থকেরা স্বেচ্ছায় এই চিহ্ন ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ নিজেদের টি-শার্ট, কেউ জ্যাকেটে এমনকি গাড়িতেও ব্যবহার করছেন এই চিহ্ন।

রাশিয়া মঙ্গলবার একটি সয়ুজ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। ওই রকেটেও ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সমর্থনে ‘জেড’ অক্ষর লেখা ছিল। তবে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থনে ‘জেড’ই নয়, বিশ্বজুড়ে এই যুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা চিহ্ন।

‘কিউ’

 ইংরেজি ‘কিউ’ অক্ষরটি  ২০২১ সালের মার্কিন  নির্বাচনের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ডানপন্থী রাজনীতি এবং ‘কিউঅ্যানন’ আন্দোলনের সমর্থনে ক্যাপিটল হিল ঘেরাও করে ‘কিউ’ অক্ষর লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ‘কিউ’ প্রতীক প্রতিনিধিত্ব করে যেসব উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের যাদের কাছে সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য পাওয়ার সুযোগ আছে। এবং এসব তথ্য তারা ‘কিউঅ্যানন’ সমর্থকদের জানান। ইউক্রেন যুদ্ধেরও এই ‘কিউ’ প্রতীক ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

‘ভি’

 ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনে আরেকটি চিহ্ন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেটা হলো ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষর। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা এই চিহ্নটি রাশিয়ার বিজয়কে বোঝায়। 

শান্তির চিহ্ন

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, আধুনিক শান্তি চিহ্নটি ১৯৫৮ সালে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সময় ব্রিটিশ প্রচারণার জন্য জেরাল্ড হোলটম ডিজাইন করেছিলেন। এই চিহ্নটি বিশ্বজুড়ে অনেক প্রতিবাদকারীরা ব্যবহার করেছে।

এই চিহ্নটি একটি বৃত্তের মধ্যে একটি উল্লম্ব রেখা এবং দুটি নিম্নগামী রেখা দিয়ে তৈরি। 

অন্যান্য চিহ্ন

২০১৩ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের প্রতীক হয়ে ওঠে পেঙ্গুইন। তুরস্কে যখন পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন সব জাতীয় টিভি চ্যানেল সেসব সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকে। 

সবুজদেশ/এস ইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৫১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
২৯১ Time View

ইউক্রেন যুদ্ধের ‘রহস্যময়’ যত চিহ্ন

আপডেট সময় : ০৮:৫১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক যানের উপস্থিতি নিয়মিত হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে নিয়মিত হয়ে উঠেছে রুশ সামরিক যানগুলোতে লেখা ইংরেজি শেষ অক্ষর ‘জেড’ চিহ্নও। 

 ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই যানবাহনগুলো কিয়েভ ও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরগুলোর আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব যানবাহনের প্রত্যেকটিতেই আঁকা রয়েছে পুরু সাদা রঙে একটি ‘জেড’ চিহ্ন। কেবল তাই নয়, ইউক্রেনে রুশ সমর্থনকারীদের টি-শার্টেও আঁকা রয়েছে এই ‘জেড’। 

এর রহস্য জানিয়ে দিয়েছেন রুশ থিংকট্যাংক গ্যালিনা স্টারভয়েটোভার ফেলো কামিল গালিভ। এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘জেড’ হলো এমন একটি বর্ণ যেটিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উদ্দেশে দেশত্যাগ করা যানবাহনের গায়ে লিখে দিচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই উদ্ভাবিত নতুন এই প্রতীকটি রাশিয়ার নতুন আদর্শ ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ 
শুধু সামরিক যান নয়, অনেক রুশ নাগরিক, ব্যবসায়ী এবং রাশিয়ার বাইরে থাকা রুশ সমর্থকেরা স্বেচ্ছায় এই চিহ্ন ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ নিজেদের টি-শার্ট, কেউ জ্যাকেটে এমনকি গাড়িতেও ব্যবহার করছেন এই চিহ্ন।

রাশিয়া মঙ্গলবার একটি সয়ুজ রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। ওই রকেটেও ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সমর্থনে ‘জেড’ অক্ষর লেখা ছিল। তবে শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থনে ‘জেড’ই নয়, বিশ্বজুড়ে এই যুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা চিহ্ন।

‘কিউ’

 ইংরেজি ‘কিউ’ অক্ষরটি  ২০২১ সালের মার্কিন  নির্বাচনের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। ফলাফল ঘোষণার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ডানপন্থী রাজনীতি এবং ‘কিউঅ্যানন’ আন্দোলনের সমর্থনে ক্যাপিটল হিল ঘেরাও করে ‘কিউ’ অক্ষর লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ‘কিউ’ প্রতীক প্রতিনিধিত্ব করে যেসব উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের যাদের কাছে সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য পাওয়ার সুযোগ আছে। এবং এসব তথ্য তারা ‘কিউঅ্যানন’ সমর্থকদের জানান। ইউক্রেন যুদ্ধেরও এই ‘কিউ’ প্রতীক ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

‘ভি’

 ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনে আরেকটি চিহ্ন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেটা হলো ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষর। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা এই চিহ্নটি রাশিয়ার বিজয়কে বোঝায়। 

শান্তির চিহ্ন

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, আধুনিক শান্তি চিহ্নটি ১৯৫৮ সালে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সময় ব্রিটিশ প্রচারণার জন্য জেরাল্ড হোলটম ডিজাইন করেছিলেন। এই চিহ্নটি বিশ্বজুড়ে অনেক প্রতিবাদকারীরা ব্যবহার করেছে।

এই চিহ্নটি একটি বৃত্তের মধ্যে একটি উল্লম্ব রেখা এবং দুটি নিম্নগামী রেখা দিয়ে তৈরি। 

অন্যান্য চিহ্ন

২০১৩ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের প্রতীক হয়ে ওঠে পেঙ্গুইন। তুরস্কে যখন পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন সব জাতীয় টিভি চ্যানেল সেসব সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকে। 

সবুজদেশ/এস ইউ