ইতালি প্রবাসী কাজী আমির মো: রিন্টু ওরফে দোদুলকে ষড়যন্ত্রমূলক নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা এবং তাঁর ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাবাল মো: রিফাত হোসেনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের বড়ো ভাই মো: কামাল উদ্দিন।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো: কামাল উদ্দিন বলেন, “আমার ভাই কাজী আমির মো: রিন্টু দীর্ঘ ২০ বছর ইতালিতে অবস্থান করছিলেন। তিনি তাঁর আয়ের অধিকাংশ টাকা শ্বশুর ও শ্যালকের হাতে পাঠাতেন। শ্বশুর অনিকুল ইসলাম কবির ও শ্যালক রাসেল হোসেন মিলে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে ফেরার পর রিন্টু টাকা-পয়সার হিসাব চাইলে শ্বশুর পক্ষের সাথে তাঁর বিরোধের সৃষ্টি হয়। একই সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয় জানতে পারায় পারিবারিক কলহ চরমে ওঠে। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রিন্টু কুষ্টিয়া শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থান করলেও, পুনরায় চুয়াডাঙ্গার নিজ বাড়িতে ফেরার পর তাঁর জীবন হুমকির মুখে পড়ে। কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ২২ মার্চ রাতে পরিকল্পিতভাবে রিন্টুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তাঁর স্ত্রী রত্না খাতুন, শ্বশুর অনিকুল ইসলাম কবির ও শ্যালক রাসেল হোসেনের হাত রয়েছে। হত্যার আলামত নষ্ট করতে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা মামলা সাজাতে রিন্টুর মেয়ে জারিন ইয়াসমিন রিতুর মাধ্যমে রিন্টুর ছেলে কেএম রিফাতের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করান। বর্তমানে রিফাত যশোর কারাগারের শিশু সংশোধনাগারে আটক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কামাল উদ্দিন প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে রিফাতের মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা।
এ বিষয় মৃতের স্ত্রী আইরিন পারভিন রত্নার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হত্যা হয়েছে আপনারা জানেনই তো সবকিছু। আমি বাইরে রয়েছি। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না বলে জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রিফাতের ফুফু কাজী খাদিজা পারভিন, কাজী হেলেনা পারভিন, দাদি,মমতাজ বেগম, চাচা কাজী কামাল হোসেন, কাজী মাইন উদ্দিন( পিন্টু) কাজী সুলতানা আনোয়ার সাথী প্রমুখ।
সবুজদেশ/এসইউ