মিঠু মালিথাঃ

বারবার মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরে আসা মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তমানবী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে স্বপরিবারে স্বজন হারানোর পুঞ্জিবীত ব্যথা বুকে ধারণ করে যিনি বাঙালির ভাগ্যন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। প্রগতি, উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির মোহনায় উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার। বাঙালির আশা-আকাঙ্খার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা। বাঙালির বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন স্বারথী। যিনি সারা বিশ্বের বিশ্বয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা। ইতিকথা নয়, তিনিই আশার বাতিঘর।

যিনি ১৯৪৭ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। গ্রামের শৈশব-কৈশর কেটেছে বাইগার নদীর তীরে। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ হাসিনা ছিলেন জৈষ্ঠ্য সন্তান। গ্রামীণ পরিবেশে টুঙ্গিপাড়ার বাইগার নদীর তীরে বেড়ে ওঠা শেখ হাসিনায় আজ বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী।

যিনি মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। যে কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিশ্বয় হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। যে দেশকে একসময় পশ্চিমা বিশ্ব তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল সেই দেশটি এখন সারাবিশ্বের বিশ্বয়। সেই দেশটিই আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। এক জাদু-মন্ত্রে যেন বদলে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই ঈর্শ্বনীয় উন্নয়নের একমাত্র কারিগর বঙ্গকন্যা দেশত্নে শেখ হাসিনা।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বের কারণে আজকের এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অবস্থান। বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রুপ দিতে ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালনা করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানুষের আস্থা অর্জনে কাজ করে চলছেন।

দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে যিনি ১/১১ এর সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছেন। ২০০৮ সালের গণআন্দোলনের মুখে মাইনাস টু ফর্মুলা ব্যর্থ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি লাভ করেন। তারপর ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৪ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন এ সকল ক্ষেত্রে সফলতার মধ্য দিয়ে বিশ্ববুকে বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। যে কারণেই পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান।

সারাদেশে মৌলবাদ শক্তি ও জঙ্গিকে পরাস্থ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে যিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। আঘাত-সংঘাত, নিষ্ঠুরতাকে উপেক্ষা করে যিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এই বাংলার মাটিতেই। যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসিও কার্যকর করেছেন। যার হাত ধরেই মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষ ও পৃথিবীর নীপিড়িত মানুষের আশা ভরসার স্থল মাদার অব হিউম্যানিটি অর্জন করেছেন।

বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জল ইতিহাসকে যারা উল্টো পথে নিয়ে গিয়েছিল সেই অশুভ শক্তিকে বিচারের আওতায় এনে বঙ্গবন্ধুর ঘৃণ্য হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির বিধান করে জাতির কলংক মোচন করেছেন। রাষ্ট্রনায়কোচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাদীপ্ত যে ভূমিকা রেখেছে তার জন্য জাতি চিরদিন আপনাকে শ্রদ্ধাভরে মনে রাখবে হে বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

লেখক: সহ-সভাপতি, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ
সাবেক সভাপতি, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ
১/১১ নির্যাতিত ছাত্রনেতা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here