ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি।

আজ রোববার সকালে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ লমবকে এ ঘটনা ঘটে। পর্যটনশিল্পের জন্য বিখ্যাত বালি দ্বীপ থেকে এই দ্বীপ ১০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্র জানায়, স্থানীয় সময় আজ সকাল ৬টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পনটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। উৎপত্তিস্থল ছিল সাত কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি বাড়ি। লমবাক, ইন্দোনেশিয়া, ২৯ জুলাই। ছবি: রয়টার্সএএফপির খবরে বলা হয়, প্রথম বড় ভূমিকম্পের পর দ্বিতীয় ধাপে আরও দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এ দুটির মাত্রা ছিল ৫-এর ওপরে। এরপর ৫০টির বেশি পরাঘাত হয়।

পূর্ব লামবাক ও মাতারাম শহরের ভূমিকম্পটির স্থায়িত্ব ছিল ১০ সেকেন্ড। ভূকম্পনে লোকজন ঘরবাড়ি ও হোটেল ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে। তারা ফুটবল মাঠের মতো খোলা জায়গায় আশ্রয় নেয়।

ভূমিকম্পের কারণে ঘরবাড়ি নিয়ে ধসে পড়ে মাটি। লমবাক, ইন্দোনেশিয়া, ২৯ জুলাই। ছবি: রয়টার্সইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ নিরসন সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগরোহো এএফপিকে বলেন, হতাহত মানুষের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পে উত্তর লমবকের একটি বাড়ি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বীপ কর্তৃপক্ষ ভূমিধসের আশঙ্কায় মাউন্ট রিনজানিতে হাইকিং সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি উত্তর লমবকের বাসিন্দা জুলকিফলি বলেন, ‘ভূমিকম্পটি ছিল খুবই শক্তিশালী…আমাদের সবাই খুব ভয় পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছি।’ তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের সব প্রতিবেশী ঘরের বাইরে বের হয়ে এসেছিল। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’

ভূমিকম্পের কারণে আহত এক নারীকে হাসপাতালের বাইরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লমবাক, ইন্দোনেশিয়া, ২৯ জুলাই। ছবি: রয়টার্স হাজারো দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। তবে বেশির ভাগই ঝুঁকিহীন।

২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রতলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের পাশে থাকা দেশগুলোতে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here