ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে বিভাগে বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা, রহস্য!

Reporter Name

ইবি প্রতিনিধিঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বিভাগে এ পরীক্ষা গ্রহন করা হবে। গত সোমবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে। স্ব স্ব বিভাগ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের অধ্যাদেশ পরিপন্থী কাজ বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডি অধ্যাদেশ ৫ এর ২ নং ধারায় বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় পোস্ট গ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা কমিটি (পিএটিসি) এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন করবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবে। গত সোমবার এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রীয় পোস্ট গ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২৫ নম্বর এবং এবং স্ব স্ব বিভাগ ২৫ নম্বরের প্রশপত্র প্রণয়ন করে করার কথা বলা হয়েছে। যা এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের অধ্যাদেশের পরিপন্থী। এদিকে প্রশাসন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ না করেই ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এ বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এদিকে একাডেমিক কাউন্সিলে কোন ধরণের সিন্ধান্ত ছাড়াই এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের তারখি নির্ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন,‘একাডেমিক কাউন্সিলে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত হয় নি। এমফিল ও পিএইচডির অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্য এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন,‘এক প্রোগ্রামের ভর্তি কার্যক্রম শেষ না করেই পরের শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়টি হাস্যকর। বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তড়িঘড়ি করে উপাচার্য কোন সিন্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন না।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন,‘সারা দেশে স্ব স্ব বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন করা হয়ে থাকে। এক শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন না করে পরের প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
৩১৮ Time View

ইবিতে বিভাগে বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা, রহস্য!

আপডেট সময় : ০৭:১০:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ইবি প্রতিনিধিঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বিভাগে এ পরীক্ষা গ্রহন করা হবে। গত সোমবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে। স্ব স্ব বিভাগ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের অধ্যাদেশ পরিপন্থী কাজ বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডি অধ্যাদেশ ৫ এর ২ নং ধারায় বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় পোস্ট গ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা কমিটি (পিএটিসি) এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন করবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবে। গত সোমবার এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রীয় পোস্ট গ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২৫ নম্বর এবং এবং স্ব স্ব বিভাগ ২৫ নম্বরের প্রশপত্র প্রণয়ন করে করার কথা বলা হয়েছে। যা এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের অধ্যাদেশের পরিপন্থী। এদিকে প্রশাসন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ না করেই ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এ বিষয় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এদিকে একাডেমিক কাউন্সিলে কোন ধরণের সিন্ধান্ত ছাড়াই এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের তারখি নির্ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন,‘একাডেমিক কাউন্সিলে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়ে কোন সিন্ধান্ত হয় নি। এমফিল ও পিএইচডির অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপাচার্য এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন,‘এক প্রোগ্রামের ভর্তি কার্যক্রম শেষ না করেই পরের শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়টি হাস্যকর। বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তড়িঘড়ি করে উপাচার্য কোন সিন্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন না।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন,‘সারা দেশে স্ব স্ব বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন করা হয়ে থাকে। এক শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন না করে পরের প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’