ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভাঙ্কার কোম্পানি বন্ধের কারণ তাহলে এই

Reporter Name

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা জানিয়েছেন, ‘ইভাঙ্কা’ নামে তাঁর ফ্যাশনপণ্যের কোম্পানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এখন থেকে ইভাঙ্কা ব্র্যান্ডের আর কোনো পণ্য বাজারে ছাড়া হবে না।

নিজের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় ইভাঙ্কা জানিয়েছেন, ১৭ মাস হোয়াইট হাউসে বাবার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি নিশ্চিত নন, এরপর আবার কখনো ব্যবসায় ফিরে আসবেন কি না। ‘আমার সব মনোযোগ এখন ওয়াশিংটনে, আমি যে দায়িত্বে রয়েছি তার ওপর।’

এক বছর আগে হোয়াইট হাউসে উপদেষ্টা হিসেবে যোগদানের পর ইভাঙ্কা তাঁর নিজ নামের এই কোম্পানির দায়দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে মালিকানা ত্যাগ করেননি।

হোয়াইট হাউসে তাঁর দায়িত্বের কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও ইভাঙ্কার সিদ্ধান্ত সম্ভবত কোম্পানির জমা-খরচের খাতার ভিত্তিতে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর একাধিক কোম্পানি ইভাঙ্কার কোম্পানির পণ্য বাজারজাত করতে অস্বীকার করে। নরডস্ট্রমের মতো চেইন স্টোর জানিয়েছিল, ক্রেতাদের বয়কটের কারণেই তারা ইভাঙ্কার পণ্য নিজেদের স্টোরে রাখতে ইচ্ছুক নয়। আমাজন, মেসি’স ও ব্লুমিংসডেলের মতো বড় কোম্পানিগুলো এসব পণ্য বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখলেও দ্রুত বিক্রি কমে যাওয়ায় ইভাঙ্কার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। গত এক বছরে এই কোম্পানিগুলোয় ইভাঙ্কার নামাঙ্কিত পণ্যের বিক্রি ৫৫ শতাংশ কমে যায়। আগে ইভাঙ্কার কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে অস্বীকার করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এসব কোম্পানির সমালোচনা করেছিলেন।

ইভাঙ্কার দাবি ছিল, তাঁর কোম্পানির ফ্যাশনসামগ্রীর অধিকাংশই মেয়েদের তৈরি। নারী কর্মীরা যাতে ন্যায্য মজুরি পান, সে ব্যাপারে তিনি সচেতন থাকবেন। বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। ইভাঙ্কার তৈরি পোশাক বা হাতব্যাগের মতো পণ্য চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় বানানো হতো, যেখানে নিম্ন মজুরির পাশাপাশি নিম্নমানের কর্মপরিবেশের জন্য তাঁর কোম্পানি সমালোচনার সম্মুখীন হয়। এই কোম্পানি বন্ধের ঘোষণার পর ওয়াশিংটন পোস্টের ভাষ্যকার রবিন গিভান মন্তব্য করেছেন, একটা মিথ্যার মৃত্যু হলো।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
৮৮২ Time View

ইভাঙ্কার কোম্পানি বন্ধের কারণ তাহলে এই

আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা জানিয়েছেন, ‘ইভাঙ্কা’ নামে তাঁর ফ্যাশনপণ্যের কোম্পানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এখন থেকে ইভাঙ্কা ব্র্যান্ডের আর কোনো পণ্য বাজারে ছাড়া হবে না।

নিজের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় ইভাঙ্কা জানিয়েছেন, ১৭ মাস হোয়াইট হাউসে বাবার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি নিশ্চিত নন, এরপর আবার কখনো ব্যবসায় ফিরে আসবেন কি না। ‘আমার সব মনোযোগ এখন ওয়াশিংটনে, আমি যে দায়িত্বে রয়েছি তার ওপর।’

এক বছর আগে হোয়াইট হাউসে উপদেষ্টা হিসেবে যোগদানের পর ইভাঙ্কা তাঁর নিজ নামের এই কোম্পানির দায়দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে মালিকানা ত্যাগ করেননি।

হোয়াইট হাউসে তাঁর দায়িত্বের কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও ইভাঙ্কার সিদ্ধান্ত সম্ভবত কোম্পানির জমা-খরচের খাতার ভিত্তিতে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর একাধিক কোম্পানি ইভাঙ্কার কোম্পানির পণ্য বাজারজাত করতে অস্বীকার করে। নরডস্ট্রমের মতো চেইন স্টোর জানিয়েছিল, ক্রেতাদের বয়কটের কারণেই তারা ইভাঙ্কার পণ্য নিজেদের স্টোরে রাখতে ইচ্ছুক নয়। আমাজন, মেসি’স ও ব্লুমিংসডেলের মতো বড় কোম্পানিগুলো এসব পণ্য বাজারজাতকরণ অব্যাহত রাখলেও দ্রুত বিক্রি কমে যাওয়ায় ইভাঙ্কার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। গত এক বছরে এই কোম্পানিগুলোয় ইভাঙ্কার নামাঙ্কিত পণ্যের বিক্রি ৫৫ শতাংশ কমে যায়। আগে ইভাঙ্কার কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে অস্বীকার করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এসব কোম্পানির সমালোচনা করেছিলেন।

ইভাঙ্কার দাবি ছিল, তাঁর কোম্পানির ফ্যাশনসামগ্রীর অধিকাংশই মেয়েদের তৈরি। নারী কর্মীরা যাতে ন্যায্য মজুরি পান, সে ব্যাপারে তিনি সচেতন থাকবেন। বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। ইভাঙ্কার তৈরি পোশাক বা হাতব্যাগের মতো পণ্য চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় বানানো হতো, যেখানে নিম্ন মজুরির পাশাপাশি নিম্নমানের কর্মপরিবেশের জন্য তাঁর কোম্পানি সমালোচনার সম্মুখীন হয়। এই কোম্পানি বন্ধের ঘোষণার পর ওয়াশিংটন পোস্টের ভাষ্যকার রবিন গিভান মন্তব্য করেছেন, একটা মিথ্যার মৃত্যু হলো।