ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলকে যে বার্ত দিল ইরান

Reporter Name

ইসরাইল ও ইরানের পতাকা।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা (ইসরাইল) ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য পক্ষগুলো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর ফারসের। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহহিয়ান বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হয় তা হলে এই অঞ্চলের সব পক্ষের হাতই ট্রিগারে আছে। 

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত শহরগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালানো ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। 

এই অভিযানকে সামনে রেখে রোববার ‘হামাসকে ধ্বংস’ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।  

মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনাকে তিনি ইসরাইলের ‘অপূরণীয়’ সামরিক ও গোয়েন্দা পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন।   

হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইরানের ধর্মীয় শাসকরা সহিংসতা ছড়াচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল। আর ইরান বলছে, তারা গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে নৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়।

আমিরাব্দুল্লাহ গত সপ্তাহে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, গাজা ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে অবরোধ জোরদার করে তারা ‘গণহত্যা’ করতে চাইছে। গাজায় হামলা হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে ‘প্রতিরোধের নতুন ক্ষেত্র খুলবে’ বলে সতর্ক করেছেন তিনি।   

আমিরাব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলে প্রতিরোধ লড়াইয়ের নতুন নতুন ক্ষেত্র খোলার ও আজকের লড়াই ছড়িয়ে পড়ার দায়দায়িত্ব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসনের (ইসরাইল) ওপরে পড়বে। 

আমিরাব্দুল্লাহ শনিবার কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির লক্ষ্য অর্জনে ‘সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘নিপীড়ন প্রতিরোধে’ সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
৯৫ Time View

ইসরাইলকে যে বার্ত দিল ইরান

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, তারা (ইসরাইল) ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য পক্ষগুলো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর ফারসের। 

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহহিয়ান বলেছেন, যদি ইহুদিবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হয় তা হলে এই অঞ্চলের সব পক্ষের হাতই ট্রিগারে আছে। 

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত শহরগুলোতে নজিরবিহীন হামলা চালানো ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের খোঁজে গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। 

এই অভিযানকে সামনে রেখে রোববার ‘হামাসকে ধ্বংস’ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।  

মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলে হামাসের আক্রমণের সঙ্গে তেহরান জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনাকে তিনি ইসরাইলের ‘অপূরণীয়’ সামরিক ও গোয়েন্দা পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন।   

হামাসকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইরানের ধর্মীয় শাসকরা সহিংসতা ছড়াচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল। আর ইরান বলছে, তারা গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী হামাসকে নৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়।

আমিরাব্দুল্লাহ গত সপ্তাহে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, গাজা ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে অবরোধ জোরদার করে তারা ‘গণহত্যা’ করতে চাইছে। গাজায় হামলা হলে তা মধ্যপ্রাচ্যে ‘প্রতিরোধের নতুন ক্ষেত্র খুলবে’ বলে সতর্ক করেছেন তিনি।   

আমিরাব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলে প্রতিরোধ লড়াইয়ের নতুন নতুন ক্ষেত্র খোলার ও আজকের লড়াই ছড়িয়ে পড়ার দায়দায়িত্ব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসনের (ইসরাইল) ওপরে পড়বে। 

আমিরাব্দুল্লাহ শনিবার কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির লক্ষ্য অর্জনে ‘সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাস।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘নিপীড়ন প্রতিরোধে’ সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

সবুজদেশ/এসইউ