ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ বনানী থানার পরিদর্শক ভারতে আটক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৮১ Time View

বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা। - ছবি : উত্তরবঙ্গ সংবাদ

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

শুক্রবার বিএসএফের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করেন।

শনিবার শিলিগুড়ি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা উত্তরবঙ্গ সংবাদ তাদের অনলাইন ভার্সনে এক খবর দিয়েছে।

তবে বাংলাদেশ পুলিশ সোহেল রানার আটকের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।

ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশীকে আটক করেছে বিএসএফ। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিদেশী পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল ও এটিএম কার্ড। শনিবার তাকে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সোহেল রানার নামে বাংলাদেশে অপরাধমূলক একাধিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি জানতে পেরেছে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গা-ঢাকা দেয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করেছেন সোহেল রানা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিএসএফ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

আটক ব্যক্তির পরিচয় হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা শেখ সোহেল রানা। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।

বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি। বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বোন ও ভগ্নিপতি চালাতেন প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগে সোহেল রানার বোন, ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।

পুলিশও বলেছে, ই-অরেঞ্জের মূল মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। মামলার পর এই তিনজনই এখন কারাগারে আছেন। এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারসহ দুজন পলাতক।

এক লাখ গ্রাহকের ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করা হয়। মামলায় ভুক্তভোগী ২৯ জন গ্রাহকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে তাহেরুল ইসলাম বাদি হয়েছেন।

ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করত।

Tag :