পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৫ আগস্ট থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট সম্ভাব্য ঈদের দিন হিসেব করে আগের চার দিনের বাসের সব অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি বরেছে সংশ্লিষ্টরা।

বাস কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হয়- ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ আগস্টের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। কোনো কোনো বাস কাউন্টারের সামনে এই চার দিনের টিকিট শেষ বলে নোটিশ বোর্ডও ঝুলিয়ে দেয় হয়েছে।

কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, চাকুরিজীবীদের অধিকাংশের আগ্রহের কেন্দ্রে ২০ ও ২১ আগস্টের টিকিট আর ছাত্রদের ১৮ ও ১৯ আগস্টের চাহিদা থাকায় এই চার দিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কল্যানপুর ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, অধিকাংশ যাত্রীর কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট চেয়ে পাচ্ছেন না।

যাত্রীদের অভিযোগ, কাঙ্ক্ষিত রুটে কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকেট মিলছে না। টিকিট থাকার পরও পাওয়া যাচ্ছে না। এসির টিকিট চাইলেও মিলছে না।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাবতলী কাউন্টারে কথা হয় দিনাজপুর ঘোড়াঘাট রুটের যাত্রী রুস্তম আলীর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়েও ২০ ও ২১ তারিখের কোনো দিনের টিকিট পেলাম না। কিন্তু পূর্ব পরিচিত, ভিআইপি কিংবা বুকিং দেয়া যাত্রীরা ঠিকই টিকিট নিয়ে যাচ্ছেন। ফোন করে লোক পাঠিয়ে অনেককে টিকিট নিয়ে যেতে দেখা গেলেও আমি টিকিট পাইনি। বাধ্য হয়ে গাইবান্ধা রুটের টিকিট কিনতে বাধ্য হলাম।

jagonews24

একই রকম অভিযোগ করলেন কল্যাণপুরের শ্যামলী কাউন্টারে দাড়িয়ে থাকা আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ২০ তারিখের টিকিট শেষ। কোনোভাবে টিকিট না পেয়ে ২১ তারিখ রাতের টিকিট কিনতে বাধ্য হলাম।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের জিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, চাহিদা বেশি থাকায় ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ আগস্টের টিকিট শেষ। তা নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও রংপুর রুটের এইসব দিনের টিকিট দিতে আমরা অপরাগ। অন্য রুটে কিছু টিকিট মিলছে। তবে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলে আমরা বাড়তি বাস নামাতে পারি। সেজন্য আরও ২ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

তবে হানিফের গাইবান্ধা রুটের টিকিট মাস্টার শফিকুল গণি বাবু জানান, গাইবান্ধা রুটে ২০ তারিখ ব্যতীত সব দিনের টিকিট মিলছে।

শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান, এবার শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কল্যাণপুর, শ্যামলী ও আসাদগেট কাউন্টার থেকে। সব রুটের সব দিনের পর্যাপ্ত টিকিট ছিল শ্যামলী পরিবহনে। তবে ২০ আগস্টের টিকিট শেষ।

এসআর ট্রাভেলসের ম্যানেজার মো. আমিন নবী জানান, কাউন্টারের পাশাপাশি সহজের মাধ্যমে টিকিট অনলাইনে বিক্রি চলছে। আমাদের অধিকাংশ দিনের টিকিট শেষ। যারা বগুড়ার টিকেট পাচ্ছেন না কিংবা ভাল মানের টিকেট চাচ্ছেন তাদেরকে একই রুটের অন্য জেলার টিকেট দেয়া হচ্ছে।

আল হামরা কাউন্টারের ম্যানেজার দেলওয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বেশিরভাগ টিকিট প্রত্যাশীই তাদের প্রত্যাশিত দিনের টিকিট কিনে ফেলেছেন।

নাবিল পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা নয়ন জানান, আমাদের কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। সব অনলাইনে সহজের মাধ্যমে। অধিকাংশ দিনের টিকিট শেষ।

একই অবস্থা ডিপজল, শ্যামলী, নাবিল, টিআর ট্রাভেলস, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, শাহজাদপুর ও পাবনা এক্সপ্রেসে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here