ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে কোস্ট গার্ডের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সমুদ্রে অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের (বিসিজি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীর (বিসিজি) মূলমন্ত্র হলো ‘সমুদ্রের অভিভাবক’ যার অর্থ উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।

প্রধানমন্ত্রী অনেক অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করে উপকূলের নিরীহ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোস্টগার্ড সসদ্যদের ব্যাপক প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসহ কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনীতে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানসহ কোস্টগার্ড একটি উন্নত ও শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হোক।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করেন। তখনো জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এ আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চলও রয়েছে। এ অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল তারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এ ব্যাপারে সম্যক ধারণা ছিল কিনা। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফায় সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নিই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। একদিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহন- সবকিছুর নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাহিনীতে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকজন বিসিজি সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
৯১ Time View

উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে কোস্ট গার্ডের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

সমুদ্রে অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের (বিসিজি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীর (বিসিজি) মূলমন্ত্র হলো ‘সমুদ্রের অভিভাবক’ যার অর্থ উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।

প্রধানমন্ত্রী অনেক অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করে উপকূলের নিরীহ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোস্টগার্ড সসদ্যদের ব্যাপক প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসহ কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনীতে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানসহ কোস্টগার্ড একটি উন্নত ও শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হোক।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করেন। তখনো জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এ আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চলও রয়েছে। এ অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল তারা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এ ব্যাপারে সম্যক ধারণা ছিল কিনা। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফায় সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নিই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। একদিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহন- সবকিছুর নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাহিনীতে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকজন বিসিজি সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন।