উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪ টায় কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে বেলা ৩ টা থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আমরণ অনশন শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী তাদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা টেবিলে বসার তাগিদ নিয়ে বেলা আড়াই দিকে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারি পরিচালক ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারি ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ছাত্রকল্যাণ, রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল গনি ভূঁইয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক ড. রাজিয়া খাতুন,অধ্যাপক ড. রোকনউদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইলিয়াস এনাম, অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান, অধ্যাপক ডক্টর মনির হোসেন, অধ্যাপক ড আওলাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আহমেদ হাসান আলী, অধ্যাপক ড. কাউসার আহমেদ রিজভী, অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. নুরুন্নবী মোল্লা , ড. সাইফুল ইসলাম, রুবায়েত মোস্তাক, ড. আওলাদ হোসেন, ড.রফিকুল ইসলাম, রাজন রাহাহান।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল, রাহাতুল ইসলাম, মো. ওবায়দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মোহন, ইলেকট্রিক্যাল ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব রাহাত।
অনশন প্রত্যাহারের শিক্ষকদের দাবির জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রথম দাবিগুলো যদি মেনে নিতেন তাহলে আমরা এক দফায় আসতাম না। তারা শিক্ষকদের অনুরোধ করে বলেন আমাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে আপনারা আমাদের সঙ্গে বসে পড়ুন। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির সাথে আপনারা একাত্মতা পোষণ করেন। আমরা কুয়েট ক্যাম্পাসকে সুন্দর রাখতে চাই। সবার সঙ্গে আমরা সুন্দর সম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করুন। আমরা বিশ্বাস রাখি আমাদের দাবির সঙ্গে আপনারা একাত্মতা প্রকাশ করে এখানে বসবেন।
তারা আরও বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে আমাদের যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে আপনাদের বলছি কিন্তু আপনারা আমাদের দাবির গুরুত্ব দেন নাই । আমরা ৪৮ ঘন্টা খোলা আকাশের নিচে ছিলাম। আপনারা তখন আসেন নাই। তারা প্রশ্ন করে বলেন আমরা কি দুষ্কৃতিকারী আমাদের নামে ছিমতাই, চুরির মামলা হয়?
সর্বশেষ শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের দাবিতে অনড় থাকায় টানা আড়াই ঘন্টা তাদের সাথে আলোচনা করে অনেকটা ব্যর্থ মনোরথে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার ত্যাগ করেন।
এসময় শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আলোচনার দুয়ার খোলা আছে আমরা আবারও তোমাদের কাছে আসবো।
সবুজদেশ/এসইউ
সবুজদেশ ডেস্ক: 



















