ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি: ঝিনাইদহের শিক্ষকসহ ৫ জন চিহ্নিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে।

সবুজদেশ ডেস্ক:

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযুক্তরা হলেন—প্রশ্নপত্র প্রণেতা ঝিনাইদহের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল, প্রশ্নপত্র পরিশোধনকারী নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজুদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সহকারী মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

তপন কুমার সরকার বলেন, ‘অভিযুক্তরা সবাই যশোর বোর্ডের। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই বিষয়ে যশোর বোর্ড শিগগির তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে।’

গত রোববার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ ওঠে।

প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

প্রশ্নে দেখানো হয়, নেপাল ও গোপাল নামের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই নেপাল তার বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামের একজনের কাছে একাংশ জমি বিক্রি করে দেন। আব্দুল সেই জমিতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতার ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।

সোমবার (৭ নভেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ‘প্রশ্ন প্রণেতা ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি: ঝিনাইদহের শিক্ষকসহ ৫ জন চিহ্নিত

Update Time : ০১:৩৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্ক:

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযুক্তরা হলেন—প্রশ্নপত্র প্রণেতা ঝিনাইদহের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল, প্রশ্নপত্র পরিশোধনকারী নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজুদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সহকারী মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

তপন কুমার সরকার বলেন, ‘অভিযুক্তরা সবাই যশোর বোর্ডের। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই বিষয়ে যশোর বোর্ড শিগগির তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে।’

গত রোববার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ ওঠে।

প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

প্রশ্নে দেখানো হয়, নেপাল ও গোপাল নামের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই নেপাল তার বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামের একজনের কাছে একাংশ জমি বিক্রি করে দেন। আব্দুল সেই জমিতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতার ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।

সোমবার (৭ নভেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ‘প্রশ্ন প্রণেতা ও মডারেটরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’