এতিম মেহেদীর প্রশ্ন- বাবা কেন তুমি চলে গেলে?
মিঠু মালিথাঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মরহুম সাংবাদিক সোহরাব হোসনের একমাত্র সন্তান মেহেদী। বাবাকে হারিয়ে শোকে কাতর। বাবা নেই আর মা যেন থেকোও নেই। স্থানীয় ন্যাশনাল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। কি হবে তার অনাগত ভবিষ্যৎ। মেহেদীর চোখে শুধুই পানি।
মেহেদী বাবাকে হারিয়ে ডুকরে কাঁদছে আর প্রলাপ করছে- কাকু কি হবে আমার? কোন শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। স্থবির হয়ে নিজেকে সামাল দিয়েছি আর মেহেদীর করুণ আর্তনাদ দেখেছি। মেহেদীর প্রশ্ন -ও বাবা কেন তুমি চলে গেলে?
সহায় সম্পদ বলতে কিছুই নেই মরহুম সাংবাদিক সোহরাবের। অথচ বাড়ির খেয়ে বাগানের মহিষ তাড়াতো। করতো মহান সাংবাদিকতার পেশা।
কতজনের পচা কথা আর গালমন্দ শুনতে হয়েছে সোহরাবকে। শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য। তবে সোহরাবের স্বপ্ন ছিলো ছেলেটাকে মানুষের মত মানুষ করবে সে। কিন্তু বিধি বাম! নিয়তির কাছে হেরে গেছে তার স্বপ্ন।
কয়েকমাস আগেই মেহেদীর মাকে তালাক দিয়েছিলো তার বাবা। মেহেদী নানাবাড়িতে থাকে। বৃদ্ধ দাদা দায়িত্ব নিবে কিভাবে মেহেদীর? তারই নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তারপরও মেহেদীকে কথা দিয়েছি।পাশে থাকবো।
আমরা কর্মরত সাংবাদিকরা কি পারিনা এতিম মেহেদীর জন্য কিছু করতে? মেহেদীর বাবাতো সাংবাদিক ছিলো। দোষ-গুণে মানুষ। এতিম মেহেদীর তো কোন দোষ নেই। নিশ্চয় এতিম মেহেদী সকল কষ্ট কাটিয়ে উঠবে। আল্লাহ মেহেদীকে ধৈর্য্য ধারনের তৌফিক দান করুন। মেহেদী যেতে হবে বহুদুর-