ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রাম সেচ্ছায় লকডাউন

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর সেচ্ছায় লগডাউন হলো ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। গ্রামের ৬০ যুবকের উদ্যোগে বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। লকডাউন করায় দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের তালিকা করে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে চাল, ডাল ও লিটার তেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র।

প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন সমন্বয়কারী মোঃ তারিক হাসান জানান, গ্রামের ৬০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে তারা তিন শিফটে কাজ করছে। গ্রামের ৫টি মোড়ে কাজ করছে। আর সেখানে বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তাায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকে যুবকেরা। কেউ আসলে তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন করার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলবে। গ্রামের সকলে মিলে চেষ্টা করা হচ্ছে গ্রামটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। গত ১ এপ্রিল থেকে দয়ারামপুর গ্রামে লকডাউন করা হয়েছে। এখন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ গ্রামের বাইরে যেতে পারছে না। সবাইকে আমরা নজরদারিতে রাখছি।

লকডাউন করায় গ্রামের গরীব মানুষদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। গরীবদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের প্রতিটি দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য সামগ্রী। তাছাড়া বিতরন করা হয়েছে ৩ হাজার মাস্ক।করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতেই আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি।

দোড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিউলর মহিদুল ইসলাম জানান, তারেকের নেতৃত্বে ৬০ জন যুবক এমন কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে।

দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছা সেবকদের সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমেকার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
৭৩৭ Time View

এবার কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রাম সেচ্ছায় লকডাউন

আপডেট সময় : ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর সেচ্ছায় লগডাউন হলো ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। গ্রামের ৬০ যুবকের উদ্যোগে বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। লকডাউন করায় দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের তালিকা করে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে চাল, ডাল ও লিটার তেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র।

প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন সমন্বয়কারী মোঃ তারিক হাসান জানান, গ্রামের ৬০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে তারা তিন শিফটে কাজ করছে। গ্রামের ৫টি মোড়ে কাজ করছে। আর সেখানে বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তাায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকে যুবকেরা। কেউ আসলে তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন করার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলবে। গ্রামের সকলে মিলে চেষ্টা করা হচ্ছে গ্রামটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। গত ১ এপ্রিল থেকে দয়ারামপুর গ্রামে লকডাউন করা হয়েছে। এখন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ গ্রামের বাইরে যেতে পারছে না। সবাইকে আমরা নজরদারিতে রাখছি।

লকডাউন করায় গ্রামের গরীব মানুষদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। গরীবদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের প্রতিটি দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য সামগ্রী। তাছাড়া বিতরন করা হয়েছে ৩ হাজার মাস্ক।করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতেই আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি।

দোড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিউলর মহিদুল ইসলাম জানান, তারেকের নেতৃত্বে ৬০ জন যুবক এমন কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে।

দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছা সেবকদের সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমেকার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।